পাতা:য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
য়ুরোপ-প্রবাসীর পত্র

পদার্থ তা ভালো করে বলতে পারি নে, আমি যে কবার হৌসে গিয়েছি, দুই-একজন ছাড়া Diplomatic Galleryতে লোক দেখতে পাই নি। Strangers Gallery থেকে বড়ো ভালো দেখাশোনা যায় না, তার সামনে Speaker's Gallery, Speaker's Galleryর সুমুখে Diplomatic Gallery। আমরা গ্যালারিতে গিয়ে তো বসলেম। পরচুলাধারী Speaker মহাশয় গরুড় পক্ষীটির মতো তাঁর সিংহাসনে গিয়ে বসলেন। হৌসের সভ্যেরা সব আসন গ্রহণ করলেন। কাজ আরম্ভ হল। হৌসের প্রথম কাজ প্রশ্নোত্তর করা। হৌসের পূর্ব অধিবেশনে এক-এক জন মেম্বর বলে রাখেন যে, ‘আগামী বারে আমি অমুক অমুক বিষয়ে জিজ্ঞাসা করব, তার উত্তর দিতে হবে।’ একজন হয়তো জিজ্ঞাসা করলেন, ‘অমুক জেলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট অমুক-আইন-বিরুদ্ধ কাজ করেছেন, সেক্রেটারি মহাশয় তার কি কোনো সংবাদ পেয়েছেন, আর সে বিষয়ে কি কোনো বিধান করেছেন?’ এ বিষয়ে যিনি দায়ী তিনি উঠে তার একটা কৈফিয়ত দিলেন। সে দিন O’ donnel নামে একজন Irish member উঠে জিজ্ঞাসা করলেন যে, ‘Echo এবং আরও দুই-একটি খবরের কাগজে জুলুদের প্রতি ইংরাজ সৈন্যদের অত্যাচারের যে বিবরণ বেরিয়েছে সে বিষয়ে গবর‍্ন‍্মেণ্ট্ কি কোনো সংবাদ পেয়েছেন? আর সে-সকল অত্যাচার কি খৃস্টানদের অনুচিত নয়?’ অমনি গবর‍্ন‍্মেণ্টের দিক থেকে সার মাইকেল হিক্‌স‍্বিচ্ উঠে ওডোনেলকে খুব কড়া কড়া দুই-এক কথা শুনিয়ে দিলেন, অমনি একে একে যত আইরিশ মেম্বর ছিলেন সকলে উঠে তার কড়া কড়া উত্তর দিতে লাগলেন, এই রকম অনেক ক্ষণ ঝগড়াঝাঁটি করে দুই পক্ষ শান্ত হয়ে বসলেন। এইরূপ উত্তর-প্রত্যুত্তরের ব্যাপার সমস্ত হলে পর যখন বক্তৃতা করবার সময়

৪৪