পাতা:য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট

যিশুখৃস্টকে যে রকম আঁকে তােমাকে ঠিক সেই রকম দেখতে। আমি বললুম, এ কথা আমার পক্ষে নতুন নয়। clubটা একটা রাজপ্রাসাদ বললেই হয়― চমৎকার পাথরের সিঁড়ি, খুব জমকালাে, এবং যত রকম আরাম কল্পনা করা যেতে পারে তার বন্দোবস্ত আছে।

 মঙ্গলবার। চিঠি পাওয়া গেল। বাবি লিখেছে, আর চিঠি লিখবে না। মেজদাদার কাছে আমার একলার বাড়ি পালাবার প্রস্তাব করা গেল, কিছু ফল হল না। বাবিকে চিঠি লিখতে বসা গেল।

 বুধবার। কাল সন্ধে থেকে লোকেন Margateএ তার বন্ধুসন্দর্শনে। আমি বসে বসে চিঠি লিখছি। Miss Mullএর কাছে একটু গান শিখলুম। ‘যদি আসে’ গানটা তার ভালাে লাগল। লােকেন ফিরে এসেছে। আজ পয়লা অক্‌টোবর— এ মাসটা শেষ হয়ে গেলে বাঁচা যায়। কাল থেকে ঝেড়াে বাতাস বচ্ছে, মেঘ করে রয়েছে, শীতও বেড়েছে। বােধ হয় রীতিমত বিলিতী weather আরম্ভ হল। মেজদার কেন এ দেশ ভালাে লাগে আমি তাে কিছুই বুঝতে পারি নে— তিনি তাে এখানকার হুড়োমুড়িতে তেমন যােগ দেন না। ইচ্ছে করলেই একটা-কিছু করা যেতে পারে, নিদেন রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে দোকানগুলাে ঘুরে আসা যেতে পারে— এইটে মনে করেই মন অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকে বােধ হয়।

 বৃহস্পতি। নারায়ণ হেমচন্দ্রের সঙ্গে দেখা— আশ্চর্য অধ্যবসায়। বেচারার কাপড়-চোপড়ের অবস্থা দেখে আমি তাকে আমার একসুট গরম কাপড় দিলুম। India Officeএ হয়ে দোকান হয়ে শ্রান্তভাবে বাড়ি প্রত্যাগমন। মেজদা কাল আমাকে Birming-

১৮৪