আকাশের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে, অতএব আমরা নব্যতরুসম্প্রদায়েরা একটা সভা করে এই সততচঞ্চল পরিবর্তনশী-রৌদ্রবৃষ্টিরায়ুর সংস্পর্শ বহুপ্রযত্নে পরিহার-পুর্বক আমাদের ধ্রুব অটল সনাতন ভূমির একান্ত আশ্রয় গ্রহণ করব। কিম্বা সে এমন তর্কও করতে পারে যে, ভূমিটা অত্যন্ত স্থূল হেয় এবং নিম্নবর্তী, অতএব তার সঙ্গে কোনাে আত্মীয়তা না রেখে আমি চাতকপক্ষীর মতাে কেবল মেঘের মুখ চেয়ে থাকব।―
দুয়েতেই প্রকাশ পায় বৃক্ষের পক্ষে যতটা আবশ্যক তার চেয়ে তার অনেক অধিক বুদ্ধির সঞ্চার হয়েছে।
তেমনি বর্তমান কালে যাঁরা বলেন ‘আমরা আর্যশাস্ত্রের মধ্যে বদ্ধমূল হয়ে বাহিরের শিক্ষা হতে আপনাকে রক্ষা করবার জন্যে আপাদমস্তক আচ্ছন্ন করে বসে থাকব’, কিম্বা যাঁরা বলেন ‘হঠাৎ শিক্ষার বলে আমরা আতসবাজির মতাে এক মুহূর্তে ভারতভূতল পরিত্যাগ করে সুদূর উন্নতির জ্যোতিষ্কলােকে গিয়ে হাজির হব’, তাঁরা উভয়েই অনাবশ্যক কল্পনা নিয়ে অতিরিক্ত বুদ্ধিকৌশল প্রয়ােগ করছেন।
কিন্তু সহজবুদ্ধিতে স্বভাবতই মনে হয় যে, ভারতবর্ষ থেকে শিকড় উৎপাটন করেও আমরা বাঁচব না এবং যে ইংরাজি শিক্ষা আমাদের চতুর্দিকে নানা আকারে বর্ধিত ও প্রবাহিত হচ্ছে তাও আমাদের শিরােধার্য করে নিতেই হবে। মধ্যে মধ্যে দুটোএকটা বজ্রও পড়তে পারে এবং কেবলই যে বৃষ্টি হবে তা নয়, কখনাে কখনাে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে, কিন্তু বিমুখ হয়ে যাব কোথায়! তা ছাড়া এটাও স্মরণ রাখা কর্তব্য, এই-যে নূতন বর্ষার বারিধারা, এতে আমাদের সেই প্রাচীন ভূমির মধ্যেই নবজীবন সঞ্চার করছে।
অতএব, ইংরাজি শিক্ষায় আমাদের কী হবে? আমরা ইংরাজ হব না, কিন্তু আমরা সবল হব, উন্নত হব, জীবন্ত হব। মােটের