লােকটা তাকে লাথি মেরেছিল। মােতির মার সেই কথা মনে প’ড়ে গায়ে কাঁটা দিলে।
এমন সময়ে নবীনের প্রবেশ। কুমু খুশি হয়ে উঠল। বললে, “জানতুম ঠাকুরপাের আসতে বেশি দেরি হবে না।”
নবীন হেসে বললে, “ন্যায়শাস্ত্রে বউরানীর দখল আছে, আগে দেখেছেন শ্রীমতী ধোঁয়াকে, তার থেকে শ্রীমান আগুনের আবির্ভাব হিসেব করতে শক্ত ঠেকে নি।”
মােতির মা বললে, “বউরানী, তুমিই ওকে নাই দিয়ে বাড়িয়ে তুলেছ। ও বুঝে নিয়েছে ওকে দেখলে তুমি খুশি হও, সেই দেমাকে—”
“আমাকে দেখলেও খুশি হতে পারেন যিনি, তাঁর কি কম ক্ষমতা? যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন তিনিও নিজের হাতের কাজ দেখে অনুতাপ করেন, আর যিনি আমার পাণিগ্রহণ করেছেন তার মনের ভাব দেবা ন জানন্তি কুতো মনুষ্যাঃ।”
“ঠাকুরপাে, তােমরা দুজনে মিলে কথা-কাটাকাটি করো, তৃতীয় ব্যক্তি ছন্দোভঙ্গ করতে চায় না, আমি এখন চললুম।”
মােতির মা বললে, “সে কী কথা ভাই। এখানে তৃতীয় ব্যক্তিটা কে? তুমি না আমি? গাড়িভাড়া করে ও কি আমাকে দেখতে এসেছে ভেবেছ?”
“না, ওঁর জন্যে খাবার বলে দিই গে।” বলে কুমু চলে গেল।
৫২
মােতির মা জিজ্ঞাসা করলে, “কিছু খবর আছে বুঝি?”
“আছে। দেরি করতে পারলুম না, তােমার সঙ্গে পরামর্শ করতে এলুম। তুমি তাে চলে এলে, তার পরে দাদা হঠাৎ আমার ঘরে এসে