“যেখান থেকে কালিদাস তাঁর কবিত্ব পেয়েছেন, বাণী বীণাপাণির কাছ থেকে।”
“বীণাপাণি তোমাকে যতক্ষণ না ছাড়েন ততক্ষণ তোমাকে নিয়ে ঘর করা যে দায় হবে।”
“পণ করেছি, স্বর্গারোহণকালে নরকদর্শন করে যাব, বউরানীর চরণে এই আমার দান।”
“কিন্তু সাড়ে ন-টাকা দামের ঢাকাই কাপড় তখন-তখনই তোমার জুটল কোথায়?”
“কোথাও না। কুড়ি মিনিট পরে ফিরে এসে বললুম, ‘গণেশরাম সে-কাপড় আমাকে না বলেই ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।’ দাদার মুখ দেখে বুঝলুম, ইতিমধ্যে ছবিটা তাঁর মগজের মধ্যে ঢুকে স্বপ্নের রূপ ধরেছে। কী জানি কেন, পৃথিবীতে আমারই কাছে দাদার একটু আছে চক্ষুলজ্জা, আর কারও হলে ছবিটা ধাঁ করে তুলে নিতে তাঁর বাধত না।”
“তুমিও তো লোভী কম নয়। দাদাকে না-হয় সেটা দিতেই।”
“তা দিয়েছি, কিন্তু সহজ মনে দিই নি। বললেম, “দাদা, এই ছবিটা থেকে একটা অয়েলপেণ্টিং করিয়ে নিয়ে তোমার শোবার ঘরে রেখে দিলে হয় না? দাদা যেন উদাসীনভাবে বললে, ‘আচ্ছা, দেখা যাবে।’ বলেই। ছবিটা নিয়ে উপরের ঘরে চলে গেল। তার পরে কী হল ঠিক জানি নে। বোধ করি আপিসে যাওয়া হয় নি, আর ওই ছবিটাও ফিরে পাবার আশা রাখি নে।”
“তোমার বউরানীর জন্যে স্বর্গটাই খোয়াতে যখন রাজি আছ, তখন না-হয় একখানা ছবিই বা খোয়ালে।”
“স্বর্গটা সম্বন্ধে সন্দেহ আছে, ছবিটা সম্বন্ধে একটুও সন্দেহ ছিল না। এমন ছবি দৈবাৎ হয়। যে-দুর্লভ লগ্নে ওঁর মুখটিতে লক্ষ্মীর প্রসাদ সম্পূর্ণ