পাতা:যোগ-সাধন.djvu/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিয়। স্থিরীকৃত ছিল। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রৰওঁক রাজ রাম মোহন রার উপৰীত পরিত্যাগ করেন নাই, এই বলিয়া উপবীত ত্যাগ অবৈধ বলা যেমন অসঙ্গত, তাহাকে অজ্ঞ, ভ্রান্ত ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনে করা তদপেক্ষা সহস্ৰগুণে ধৃষ্টতা সন্দেহ নাই। বর্তমান সময়ের সাধকগণের মধ্যে র্যাহার। ব্রহ্ম কৃপালাভ করিবেন তাহদের পক্ষে এই সকল ভ্রম ও কুসংস্কার থাক অসম্ভব। তবে তাহারা বর্তমান অপূর্ণ জ্ঞানে যাহাকে সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিবেন, সহস্র বৎসর পরে যোগীর। মোগ নেত্রে হয়ত তাহার অনেক কথাকে ভ্রান্ত দেখিবেন এবং নুতন বিষয় সকল তখন তাহাদের চক্ষেসত্য প্রস্টীয়মান হুইবে । এইরূপে অনন্তকাল মানবাত্মার উন্নতি হইতে থা কিবে । ১৯শ প্রঃ । কেহ ব্যাকুল ভাবে প্রার্থ কিনা কি রূপে স্থির হয় ? মহাত্মাদের নাকি অন্তের আত্মদর্শনের শক্তি আছে ? উঃ। মানুষ অপূর্ণ সুতরাং তাহার শক্তিও স্বপূর্ণ। যতই ঈশ্বরের দিকে আমরা অগ্রসর হইব ততই আমাদের আভ্যন্তরীণ সমস্ত শক্তি বিকশিত হইয়া ক্রমে পূর্ণতার দিকে ধাবমান হইবে। প্রত্যেক লোকেরই মপরের দেহের স্তায় আত্মাদশনের শক্তি আছে। কিন্তু যাহার জ্ঞানের জড়ত। যত অধিক তাহার এই শক্তি তত অল্প ত্রবং র্যাহার যে পরিমাণে অন্তদৃষ্টি খুলিয়াছে তিনি সেই পরিমাণে বিশ্ব সংসারের যাবতীয় বস্তুর প্রকৃত তত্ত্ব উপলব্ধি করিতে সমর্থ। এইরূপে মহাত্মার সাধারণ লোক অপেক্ষা উজ্জল ভাবে সকল তত্ত্ব অবগত হন ও মানুষের আত্মার অবস্থা এমন কি বহুদূর হইতেও প্রত্যক্ষ