সঙ্গে করিয়া লইয়া যাইবেন, এইরূপ স্থির করিয়া সেই দিবস সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলেন।
রামরতন বাবুর কন্যাটী বেশ সুরূপা। এই নিমিত্তই তাঁহার মনে মনে বিশ্বাস ছিল যে, কোন বড়লোক তাঁহার কন্যাটী পাইলে অর্থ না চাহিয়াই তাহাকে গ্রহণ করিবে। এই নিমিত্তই তিনি ভাল পাত্রের অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতেছিলেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল যে, একটী ভাল পাত্র পাইলে, তাহার নিমিত্ত তিনি সর্ব্বপ্রকারে দুই তিন সহস্র পর্য্যন্ত টাকা প্রদান করিবেন। এই টাকা যে তিনি সহজে অর্পণ করিতে পারিবেন তাহা নহে, তাহার নিমিত্ত তাঁহাকে ঋণ-জালে আবদ্ধ হইতে হইবে।
পরদিবস অতি প্রত্যুষে রামরতন বাবু সেই পাত্রের বাড়ীতে গিয়া উপস্থিত হইলেন; এবং তাহার পিতাকে সঙ্গে করিয়া আপন বাড়ীতে আনিলেন। বাড়ীর স্ত্রীলোকগণ পূর্ব্ব হইতেই কন্যাটীকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া সাজাইয়া রাখিয়াছিলেন। পাত্রের পিতার সহিত আরও দুই তিন জন লোক আগমন করিয়াছিলেন। তাঁহারা সকলেই কন্যাটীকে উত্তম রূপে দেখিলেন, কন্যা দেখিয়া সকলেই সন্তুষ্ট হইলেন, সকলেরই মনোমত হইল। তাহার মধ্যে একজন প্রকাশ্যে পাত্রের পিতাকে বলিয়াও ফেলিলেন, “আমরা আপনার পুত্ত্রের নিমিত্ত এ পর্য্যন্ত যত পাত্রী দেখিয়াছি, তাহার মধ্যে একটীও এরূপ সুশ্রী নহে। এই পাত্রীটীর সহিত আপনার পুত্ত্রের বিবাহ দিতে হইবেই হইবে। আপনি অর্থের নিমিত্ত এই পাত্রটীকে যেন কোন রূপেই হস্তান্তর করিবেন না।”
কন্যা দেখা সমাপ্ত হইলে সকলেই প্রস্থান করিলেন। যাইবার সময় পাত্রের পিতা বলিয়া গেলেন, “কল্য বৈকালে আপনি আমার