কন্যাভরণ—
সুবর্ণ ৩০০ ভরি ২৫৲ হিসাবে |
৭৫০০৲ |
ফর্দ্দখানি হস্তে পাইবামাত্রই রামরতন বাবু একবারে অবাক্! যদি তিনি তাঁহার যথাসর্ব্বস্ব বিক্রয় করিয়া ফেলেন, তাহা হইলে তিনি উহার অর্দ্ধেক টাকার সংগ্রহ করিতে পারেন, কি না সন্দেহ। কিন্ত এবার রামরতন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই পাত্রের সহিত তিনি তাঁহার কন্যার বিবাহ দিবেনই, মনে মনে তাঁহার এই প্রতিজ্ঞা।
রামরতন বাবু সেই ফর্দ্দখানি হস্তে করিয়া পাত্রের পিতাকে কহিলেন, “মহাশয়! ফর্দ্দটী কিছু অধিক হইয়াছে। আমি আপনাকে যেরূপ বলিতেছি, সেইরূপ নগদ ও সুবর্ণ আদি প্রদান করিতে সম্মত আছি; ইহাতে যদি আপনি সম্মত হয়েন, দেখুন; নতুবা আমাকে আপনার আশা পরিত্যাগ করিতে হয়।
“বরাভরণের নিমিত্ত আপনি যে তিনশত টাকা মূল্যের ঘড়ি চাহিয়াছেন, তাহা আমি প্রদান করিতে সম্মত আছি।
“সোণার চেন এক ছড়া তিনশত টাকা মূল্যের, তাহাও দিব।