পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
দারোগার দপ্তর, ৮২ম সংখ্যা।

 “হীরার আংটী পাঁচশত টাকা মূল্যের তাহাও আমি দিতে প্রস্তুত আছি।

 “গার্ডচেন এক ছড়া পচিঁশ ভরি ওজনের কমে যদি না হয়, তাহা হইলেও উহা আমাকে প্রদান করিতে হইবে। কিন্ত বেণারসী চেলী আমি প্রদান করিতে পারিব না।

 “কন্যাভরণের নিমিত্ত স্বর্ণ তিনশত ভরি আমি প্রদান করিতে প্রস্তুত আছি। উহাতে যে যে অলঙ্কার প্রস্তত করিতে হইবে, তাহা আমাকে স্পষ্ট করিয়া বলিবেন, আমি সেই সকল গহনা প্রস্তুত করিয়া দিব। কেবল সুবর্ণ বা তাহার মূল্য বলিয়া নগদ কোন অর্থ আমি আপনাকে প্রদান করিব না।

 “রৌপ্য একশত ভরি আমি প্রদান করিব না। চল্লিশ ভরি দিয়া কেবলমাত্র মল প্রস্তুত করিয়া দিব।

 “পিত্তল-কাসার দানসামগ্রী এক প্রস্থ আমি প্রদান করিব; কিন্তু তাহার মূল্য চল্লিশ পঞ্চাশ টাকার অধিক হইবে না।

 “চাঁদির বাসন এক প্রস্থ এক হাজার ভরি প্রদান করা আমার পক্ষে অসম্ভব। তবে যদি আপনি একান্তই না ছাড়েন, তাহা হইলে কাজেই আমাকে উহা প্রদান করিতে হইবে।

 “খাট বিছানা আমি প্রদান করিতে পারিব না। উহা দিবার রীতি আমাদিগের নাই।

 “নমস্কারী ও ফুলশয্যার নিমিত্ত পাঁচশত টাকা প্রদান করা আমার পক্ষে একবারে অসম্ভব। সেই সকল খরচের নিমিত্ত জোর আমি একশত টাকা প্রদান করিতে পারি।

 “নগদ যে চারি হাজার এক টাকা চাহিয়াছেন, উহা আমাকে একবারেই ছাড়িয়া দিতে হইবে। নগদ টাকা আমি একবারেই