করিয়া সোণার গিল্টি করাইলেন। হীরার আংটীর পরিবর্ত্তে একটী উৎকৃষ্ট পোকরাজের বা নকল হীরার আংটী ক্রয় করিলেন। রৌপ্যের দানসামগ্রীর বন্দোবস্তও সেইরূপ করিলেন, কম মূল্যে জর্ম্মণ সিল্ভারের বাসন সকল প্রস্তত করিয়া লইলেন। প্রকৃত দ্রব্যের মধ্যে কেবল প্রদান করিলেন, চল্লিশ ভরির মল, চল্লিশ টাকা মুল্যের পিত্তল-কাঁসা, এবং নগদ এক হাজার ছয়শত এক টাকা। পিত্তলের দ্রব্যাদি ক্রয় করিয়া তাহাতে গিল্টি প্রভৃতি করাইতেও প্রায় তাঁহার দুইশত টাকা ব্যয়িত হইল। ইহার উপর বরযাত্রীদিগকে আহার-আদি করাইতে তাঁহার যে টাকা ব্যয়িত হইল, তাহার সর্ব্বশুদ্ধ হিসাব করিলে, একুশ শত কি বাইশ শত টাকার মধ্যেই তাঁহার সমস্ত খরচ সম্পন্ন হইয়া গেল।
দেখিতে দেখিতে শুভ কার্য্য সম্পন্ন হইয়া গেল। বিবাহের পর নববধূ লইয়া বরের পিতা আপন স্থানে গমন করিলেন। ক্রমে তাঁহার সাধ্যমত পাকস্পর্শ প্রভৃতি কার্য্য সকলও শেষ হইয়া গেল। এই সকল কার্য্য শেষ হইয়া যাইবার প্রায় একমাস পরে বরের পিতা জানিতে পারিলেন যে, রামরতন বাবু তাঁহাকে সম্পূর্ণরূপে ঠকাইয়াছেন। এই ব্যাপার জানিতে পারিয়াই তিনি ক্রোধে একবারে অধীর হইয়া পড়িলেন, ও রামরতন বাবুকে ডাকাইয়া তাঁহাকে কহিলেন, “এরূপ ভাবে আমাকে প্রতারণা করা কি আপনার কর্ত্তব্য হইয়াছে?” উত্তরে রামরতন বাবু কহিলেন, “এরূপ প্রতারণা না করিলে, আপনার পুত্ত্রের সহিত আমার কন্যার বিবাহ কি কোনরূপে সম্পন্ন হইতে পারিত? অত টাকা আমি কোথায় পাইব যে, কন্যার সহিত অত টাকা