পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রকম রকম।
৩৫

আমি আপনাকে প্রদান করিতে পারি? আপনার সহিত এরূপ জুয়াচুরি করিয়াও, আমাকে যে টাকা ব্যয় করিতে হইয়াছে, তাহাতেও আমি অপরের নিকট ঋণগ্রস্ত। এখন যাহা হইবার হইয়াছে, যাহা করিবার করিয়াছি! এখন আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। আমি যে আপনাকে আর একটীমাত্র পয়সাও এখন প্রদান করিতে পারি, সে ক্ষমতা আমার নাই। এখন অনুগ্রহ করিয়া আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, এই আমার প্রার্থনা।”

 উত্তরে পাত্রের পিতা কহিলেন, “ক্ষমা! তাহা আমার দ্বারা কখনই হইবে না। আমার প্রাপ্য টাকাগুলি এখন আপনি আমাকে প্রদান করুন, তাহা হইলে আমি আপনাকে ক্ষমা করিতে পারি। নতুবা কখনই আমি আপনাকে ক্ষমা করিব না।”

 রামরতন। আমি ত আপনাকে পূর্ব্বেই বলিয়াছি যে, আর একটা মাত্র পয়সাও আমি আপনাকে প্রদান করিতে পারিব না। ইহাতে চাই আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আর নাই করুন।

 উত্তরে বৈবাহিক পুনরায় কহিলেন, ক্ষমা ত কিছুতেই আমা হইতে হইবে না। আমার প্রাপ্য টাকা প্রদান না করিলে আপনার উপর নালিশ করিয়া, আমি আপনাকে কারাগারে প্রেরণ করিব; এবং পরিশেষে আপনার কন্যাকে পরিত্যাগ করিয়া আমার পুত্রের পুনরায় বিবাহ দিব।”

 “আপনার যাহা ইচ্ছা হয়, তাহা আপনি করিতে পারেন। এই বলিয়া রামরতন সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলেন।”

 বরের পিতা বড় মানুষ হইলেও, অর্থ-লালসা তাঁহার অতিশয় বলবতী। সুতরাং তিনি সেই অর্থের আশা একবারে পরিত্যাগ করিতে পারিলেন না। মুখে যাহা বলিয়াছিলেন, কার্য্যেও তাহাই