পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>

సా তোর সূর্য ছিল গহন মেঘের মাঝে, তোর দিন মরেছে অকাজেরই কাজে । তবে আসুক-না সেই তিমিররাতি, লুপ্তিনেশার চরম সাথি, 8Ꮼ☾ তোর ক্লান্ত আঁখি দিক সে ঢাকি দিক-ভোলাবার ঘোরে ! চন্দ্রা যাই বল বিশুবেয়াই, যক্ষপুরীতে এসে তোমরাই মজেহ। . আমাদের মেয়েদের তো কিছু বদল হয় নি । বিশু হয় নি তো কী ? তোমাদের ফুল গেছে শুকিয়ে, এখন সোনা “সোনা করে প্রাণটা খাবি খাচ্ছে । 88の 鳳量 পঙক্তি ৪৩১-৪৪০ S হাতে মারা যায় তাহলে নিষ্ঠুরতায় যক্ষপুরের সর্দারদেরও ছাড়িয়ে যাবে ! তোর রিক্ত প্রহর মিথ্যে কেন গোনা ! সূৰ্য্যডোবায় ডুবেচে তোর সোনা। তবে আসুক না সেই তিমির রাতি লুপ্তি-নেশার চরম সাথী, তোর ক্লান্ত আঁখি দিক সে ঢাকি দিক ভোলাবার ঘোরে । বেয়ান, তোমাদের চোখে মুখে হাসিতেও রসিক বিধাতা কিছু কিছু করে মদ জুগিয়ে এসেচেন সে ত আমাদের ভোলাবার জন্যে । কি ভোলাবার জন্যে ? শুধু এই কথাটা, যে, সংসারের পক্ষে আমরা দরকারী জিনিষ, তার বেশি কিছু নই। একদিকে পিঠের উপর পড়চে ক্ষুধাতৃষ্ণার চাবুক, আবার তার সঙ্গে সঙ্গেই রয়েচে মন ভোলাবার মদ । কাজ ফুরোলেই জবাব দিতে দেরি করে না, মদের জোগানটাও তখন কমিয়ে আনে। আর তোমরা যারা ওর পেয়ালা বয়ে বেড়াও একদিন ওর পেয়ালা ওকে ফিরিয়ে দিয়ে তোমাদেরও রসের আসর ছেড়ে দিয়ে যেতে হবে । দেখ না, যখনি আমাদের কাজের বয়স চলে যায়, এই সংসারের কারখানা ঘরে আমাদের আনাগোনা বন্ধ হতে থাকে ততই আমাদের চোখের উপরে কানের উপরে বোধের উপরে পর্দা পড়ে যেতে থাকে- তার মানে, নেশাঘরের দরজাগুলো বন্ধ হয়ে আসে । তার পরে আলোও যায় নিবে । পেয়ালাও যায় ফুরিয়ে, তখন সব বাণীই হয় শাস্ত কেবল একটি বাণী অন্ধকারে শোনা যায় “আর দরকার নেই।” আমাদের যক্ষপুরীর সর্দারেরও ঠিক সেই ব্যবস্থা । দিনের বেলায় করেচে