পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>ペ> চন্দ্রা বেয়াই, তুমি কি বল, বুঝতেই পারিনে। আমি একটা কথা জানি, একদিন ও আমাকে ভালোবাসত— মদের চেয়ে অনেক বেশি। তখন ওতে আমাতে মিলে গিয়েই সব যেন ভৰ্ত্তি হয়েছিল, আর কিছুই বাকি ছিল না । বিশু একটুখানির মধ্যেই সমস্ত ভৰ্ত্তি করে দেয় যে মিল তাকে চাওয়াই ত একমাত্র চাওয়া | চন্দ্রা তাই হোক না। মদের ভীড় ফেলে দিয়ে ও আর একবার তেমনি করে আমাকে চাক না। বিশু হায়রে বেয়ান, এখানে যে আমাদের বেঁটাতেই লেগেচে ঘা, ফুল পড়েচে ভেঙে ; সেই জোড় ভাঙার দুঃখ কড়া মদ দিয়ে ডুবিয়ে রাখতে হয়। বিধাতা তোমার মধ্যে যে মদটুকু জুগিয়ে রেখেছিলেন সে আজ ওর পক্ষে যথেষ্ট হয় না। ঐ মদের উপর তাই তোমার এত ঈর্ষা । চন্দ্রা তোমরা যা বল, আমার ত কিছু বদল হয়নি, বেয়াই। বিশু এখন তুমি সোনার হারের স্বপ্ন দেখচ । S) তোর ক্লান্ত আঁখি দিক সে ঢাকি S SG SMLSSSMSSSLSSSMSSSMSSSMAMAMSMAAAA চন্দ্রা যা বল বেয়াই, যক্ষপুরীতে এসে তোমরাই গেছ রসাতলে, আমাদের ত কিছু বদল হয়নি। বিশু ভিতরে ভিতরে হয়েচে । এখানে তোমাদের ফুলের মালা গেছে শুকিয়ে, প্রাণটা সোনার হার সোনার হার করে খাবি খাচ্চে । Gr উপযুক্ত নিবিড় ছুটি। বিধাতা তোমার মধ্যে যে মদটুকু জুগিয়ে রেখেছিলেন গায়ের পক্ষে সে যথেষ্ট ছিল, যক্ষপুরীর পক্ষে না,– তাই এই মদের উপর তোমার এত ঈর্ষা ।