পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>(? ○ দেখেছি, এমন হয়েছে সাদা চালে চলতেও পা কাপে । সর্দার নাতনি, একটা সুখবর আছে। এদের ভালো কথা শোনাবার জন্যে কেনারাম গোসাইকে আনিয়ে রেখেছি। এদের কাছ থেকে প্রণামী আদায় করে খরচটা উঠে যাবে। গোসাইজির কাছ থেকে রোজ সন্ধেবেলায় এরা— QSQ ফাগুলাল না না, সে হবে না সর্দারজি ! এখন সন্ধেবেলায় মদ খেয়ে বড়োজোর মাতলামি করি, উপদেশ শোনাতে এলে নরহত্যা ঘটবে। বিশু চুপ চুপ ফাগুলাল ! গোসাইয়ের প্রবেশ সর্দার এই-যে, বলতে বলতেই উপস্থিত। প্রভু প্রণাম । আমাদের এই কারিগরদের দুর্বল মন, মাঝে মাঝে অশাস্ত হয়ে ওঠে । এদের কানে ৫৩০ পঙক্তি ৫২১-৫৩০ > দেখেচি এমনি হয়েচে যে সাদা চালে চলতেও ভয় হয় । সর্দার দাদা ! কি নাৎনী ! মাটির নীচে সুরঙ্গ আর কতদূর গাথবে, তোমাদের যক্ষের ধন যে আর ফুরোয় না। ছুটি দাও আমাদের । আর একবার সেই আমাদের সবুজ ক্ষেত, সেই খেয়াঘাটের জামগাছতলাটা দেখে আসি । কিসের জন্যে প্রাণ কাদে সে ত বলতে পারিনে ! ঐ দেখ না, তোমাদের মানুষগুলো কি আর মানুষ আছে ? সারাদিন অন্ধকারে ভূতের মত খাটে, সারা সন্ধ্যেবেলা প্রেতের মত মেতে বেড়ায় । দেখে দয়া হয় না ? বল কি, মানুষগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্চে দেখে দুঃখ হয় না ? খুবই উদ্বিগ্ন হয়েচি। ওরা মনিবকে মানবে না, নিয়মকে মানবে না সেই কুলক্ষণ দেখা যাচ্চে। ওদের পাখা নেই তবু উড়তে যাবে এমনতরো ভাবখানা, সেটা ঘাড় ভাঙবার প্রণালী, কি বল হে ৬৯-ও, তাই নয় কি ? ওরা নেই, যে তলার মাটিতে ওদের চীৎ করিয়ে রেখেচ সেখানে উঠবে কোথায় যে পড়বে ? মাঝে মাঝে পাশ ফিরতে চায় সেটাতে দুর্ঘটনার কোনো হেতু নেই । নাৎনী ওদের ভালো কথা শোনাবার জন্যে আমরা নিজের খরচে কেনারাম