৮
পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলাে আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে
তুমি সেই আচমকা আলাে। তুমিই বা এখানকার কথা কি
খােদাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বােঝা মাথায় কীটের মত
বরিয়ে আস্ছে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু ধন, সব ঐ ধূলাের ধন
সােনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সােনা সে ত ধুলাের নয়, সে যে আলাের।
তুমি কোন্ সুবর্ণরেখা নদী বেয়ে, গিরিশিখরের রহস্য নিয়ে এই গুহাচরদের
গর্ত্তের ধারে এসে পৌঁচেছ। যে গ্রহ তােমাকে এনেছেন তাঁর অভিসন্ধি কি
তাই ভাবি। এর শেষ কোথায়?
তুমি বারে বারে ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তােমার এত বিস্ময়
কিসের, অধ্যাপক?
সকালে ফুলের বনে যে আলাে আসে তাতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু
পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলাে আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে
তুমি সেই আচকা আলাে। তুমিই বা এখানকার কথা কি
পূর্বানুগ।
(i) ধুলাের ধন সােনা > ধুলাের নাড়ীর ধন সােনা
(ii) খােদাইকরের দল থেকে সে যে আলাের পর্যন্ত অধ্যাপকের সংলাপের
অংশ যথাযথ, তার পরের অংশ ‘তুমি কোন্ সুবর্ণরেখা শেষ কোথায়
বর্জিত হয়ে তার বদলে সংযােজিত হয়েছে : “দরকারের বাঁধনে কে
তাকে বাঁধবে ?”
(iii) তুমি বারে বারে > বারে বারে তুমি
খােদাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বােঝা মাথায় কীটের মত
সুরঙ্গর ভিতর থেকে উপরে উঠে আসছে। এই যক্ষপুরে আমাদের যা-কিছু
ধন সব ঐ ধূলাের নাড়ীর ধন সােনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে-সােনা সে ত
ধূলাের নয়, সে যে আলাের। দরকারের বাঁধনে তাকে কে বাঁধবে ?
বারে বারে তুমি ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তােমার এত বিস্ময়
কিসের অধ্যাপক ?
সকালে ফুলের বনে যে-আলাে আসে তাতে বিস্ময় নেই, কিন্তু পাকা
দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলাে আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে তুমি সেই
আচষ্কা আলাে। তুমিই বা এখানকার কথা কি
অপরিবর্তিত।