পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটু শান্তিমন্ত্র দেবেন, ভারি দরকার। গোসাই এই এদের কথা বলছ ? আহা, এরা তো স্বয়ং কুৰ্ম-অবতার। বোঝার নীচে নিজেকে চাপা দিয়েছে ব’লেই সংসারটা টিকে আছে । ভাবলে শরীর পুলকিত হয়। বাবা ৪৭ফ, একবার ঠাউরে দেখো, যে মুখে নাম কীর্তন করি সেই মুখে অন্ন জোগাও তোমরা ; শরীর ৫৩৫ পবিত্র হল যে নামাবলিখানা গায়ে দিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সেখানা বানিয়েছ তোমরাই। এ কি কম কথা ! আশীবাদ করি, সর্বদাই অবিচলিত থাকো ; তা হলেই ঠাকুরের দয়াও তোমাদের পরে অবিচলিত থাকবে । বাবা, একবার কষ্ঠ খুলে বলো হরি হরি’ । তোমাদের সব বোঝা হালকা হয়ে যাক। হরিনাম আদাবস্তে পঙক্তি ৫৩১-৫৪০ N একটু শাস্তিমন্ত্র দেবেন,– ভারি দরকার ! বৎস, তোমরা যে স্বয়ং ধরণীর মত। অবিচলিত হয়ে যখন সব সহ্য কর তখনই সমাজের উন্নতি, স্থিতি, ঐশ্বৰ্য্য । নিজের প্রাণপাত করে সংসারটাকে তোমাদের পিঠের উপরে ধরে রেখেচ। কুৰ্ম্ম অবতারের মত নিজের বোঝাকে বড় করে নিজেকে তার নীচে লুকিয়েচ। নরনারায়ণের বাহন তোমরা ! হরি হরি । বাবা সাতচল্লিশ ফ, একবার বুঝে দেখ, তোমাদের অশ্রান্ত সেবার গুণেই আমাদের অন্নবস্ত্র যা কিছু। আমি নাম কীৰ্ত্তন করি বটে, কিন্তু মাথার ঘাম হল । বড় কম কথা নয় আশীৰ্ব্বাদ করি তোমরা সৰ্ব্বদা অবিচলিত থাকো, আর তোমাদের পরে ঠাকুরের দয়াও অবিচলিত থাক! বাবা, একবার কণ্ঠ খুলে বল দেখি, হরি হরি হরি হরি । সব বোঝা হাল্কা হয়ে যাবে ! হরিনাম আদাবস্তে ૨ একটু শান্তিমন্ত্র দেবেন ! ভারি দরকার । গোসাই এদের কথা বলচ ? আহা, এরা ত মাটি বল্লেই হয় । ধৈৰ্য্যে ধরণী । স্থির হয়ে যখন সব সহ্য করে তখনি সমাজের উন্নতি বল স্থিতি বল ঐশ্বৰ্য্য বল যা কিছু কূৰ্ম্ম অবতারের মত এরা বোঝাকেই বড় করে নিজেকে তার নীচে চাপা দিয়েছে। কি সুন্দর । বাবা সাতচল্লিশ ফ, একবার ভেবে দেখ যে মুখে নামকীৰ্ত্তন করি সেই মুখে অন্ন জোগাও তোমরা ; শরীর পবিত্র হল যে নামাবলীখানা গায়ে দিয়ে সেখানা, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, তোমরাই তৈরি করেচ । এ কি কম কথা ! আশীৰ্ব্বাদ করি সবর্বদা অবিচলিত থাকো আর ঠাকুরের দয়াও তোমাদের পরে অবিচলিত থাক। বাবা, একবার কণ্ঠ ○ 8○