পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭২

なこ8 ইদানীং অনেকটা মধুর রসে মজেছে। মন্ত্র নেবার মতো কান তৈরি হল বলে। তবু আরো কটা মাস পাড়ায় ফৌজ রাখা ভালো । কেননা, নাহংকারাৎ পরো রিপুঃ ! ফৌজের চাপে অহংকারটার দমন হয়, তার পরে আমাদের পালা। তবে আসি । চন্দ্রা প্রভু, আশীবাদ করো, এই এদের যেন সুমতি হয়। অপরাধ নিয়ো না । গোসাই ভয় নেই, মা-লক্ষ্মী, এরা সম্পূর্ণ ঠাণ্ডা হয়ে যাবে। প্রস্থান সর্দার ওহে ৬৯ঙ, তোমাদের ও পাড়ার মেজাজটা যেন কেমন দেখছি। বিশু তা হতে পারে। গোসাইজি এদের কূর্ম-অবতার বললেন, কিন্তু শাস্ত্রমতে অবতারের বদল হয় ! কুৰ্ম হঠাৎ বরাহ হয়ে ওঠে, বর্মের পঙক্তি ৫৬১-৫৭০ S এমন কি ওদের সাড়ে আঠারো নিজে এসে আমার কাছে একটা জপমালা চেয়ে নিলে। তোমাদের রাজসরকার থেকে কিছু বেশি কবে জপমালা আনিয়ে দিয়ো । আহা নারদ বলেচেন, অশান্ত চিত্তের পক্ষে জপ হচ্চে কেমন যেমন সাপের ফোসের উপরে সাপুড়ের বাঁশি । এখন তবে আসি। সন্ধেবেলায় আমার ওখানে প্রভুর নামকীৰ্ত্তন হবে, সময় মত একবার এসো। হরি হরি । ওহে উনসত্তর ঙ, ও পাড়ার মেজাজটা খেন কেমন দেখচি । সর্দারজি, আমার চোখ দুটোর একটু দোষ হয়েচে, নানাকারণে তোমার মত অত বেশি পষ্ট দেখতে পাইনে । কিন্তু ওদের রকমটা যেন— তা হতেও পারে। ঐ যে গোসাইজি এদের কূৰ্ম্ম অবতার বল্লেন– কথাটা সত্য । কঠিন বন্মের মধ্যে গা ঢাকা দিয়ে এরা স্থির হয়ে অনেক সহ্য করে। কিন্তু শাস্ত্র পড়েচ, তুমি ত জান, অবতার বদল হয়ে থাকে। দায়ে পড়লে কৃন্ম হঠাৎ বরাহ হয়ে ওঠে, তখন বৰ্ম্মের ૨ ইদানীং অনেকটা মধুর রসে মজেচে । তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা আমাদের শাস্ত্রে বলেচে সেটা ওদের মধ্যে প্রত্যক্ষ দেখা গেল । আমার কাছে মন্ত্র নেবার মত তাদের কান দোরস্ত হল বলে। তবু আরো মাস কয়েক ©Ꮼ☾ ( Գ O