পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশু ভুলিয়েছে দুঃখে । চন্দ্রা বেয়াই, অমন উলটিয়ে কথা কও কেন ? বিশু তোরা বুঝবি নে। এমন দুঃখ আছে যাকে ভোলার মতো দুঃখ আর নেই। ফাগুলাল বিশুদাদা, পষ্ট করে কথা বলো, নইলে রাগ ধরে। বিশু বলছি শোন, কাছের পাওনাকে নিয়ে বাসনার যে দুঃখ তাই পশুর, দূরের পাওনাকে নিয়ে আকাঙ্ক্ষার যে দুঃখ তাই মানুষের— আমার সেই চিরদুঃখের দূরের আলোটি নন্দিনীর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে । - পঙক্তি ৬১১-৬২০ S আমি তোমাকে আসল কথাটা বলি বোঝ আর নাই বোঝ। এই যক্ষপুরীতে এসে শুধু যে প্রাণের গভীর তলাকার সুখটিকে ভুলেচি তা নয় সেখানকার দুঃখটিকেও ভুলেচি। ওকে দেখলে আমার সেই দুঃখ জেগে ওঠে। তোমার আবার গভীর দুঃখটা কি শুনি— সে কথা কাকে বলব ! জীবনের একটা এপার আছে, আর একটা ওপার আছে। সেই দুপারে আর মিলল না। তাদের মাঝখানে বিচ্ছেদের ধারা কেঁদে বয়ে যায় । ওকে আমি সেই কান্নারই গান শোনাই। বেয়ান, তোমরা আর দেরী কোরো না, যাও । ২ বিশু নেশা করি কিসের জন্যে বেয়ান ? যে ধন একদিন ছিল, আজ হারিয়েচে, তারই দুঃখ ভুলব বলে। আর যে-দূরের ধনকে কাছে পেতে হবে এখনো পাইনি তার জন্যে দুঃখটি ত ভুলতে ইনে। সেই দূরটিতে আছে “আহা” আর আমার এই বুকটিতে আছে “উহুঁ", বিরহের ফাঁকের ভিতর দিয়ে এরা , কেবলি সুরে সুর মেলাচ্চে। যক্ষপুরীর সোনার পিণ্ডের মধ্যে এই বিরহ দুঃখটাকেই ভুলে বসেছিলুম। কি জানি নন্দিনকে ‘খঞ্জনকে বর্জন করে] দেখলে আমার সেই দুঃখ জাগে । তোমাকে ভুলিয়েচে বল ত ? VL や>Q \అSO