পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বললে, রঞ্জনের কথা আমাকে বলো । তাকে কিরকম ভালোবাস ?” পালকে ভালোবাসে— পালে লাগে বাতাসের গান, আর হালে জাগে ঢেউয়ের নাচ । মস্ত একটা লোভী ছেলের মতো একদৃষ্টে তাকিয়ে চুপ করে শুনলে। হঠাৎ চমকিয়ে দিয়ে বলে উঠল, ‘ওর জন্যে প্রাণ দিতে পার ? আমি বললুম, এখখনি।’ ও যেন রেগে গর্জন করে বললে, কখখনো না । আমি বললুম, হা পারি।’ তাতে তোমার লাভ কী ? বললুম, জানি নে। তখন ছটফট করে বলে উঠল, “যাও, আমার ঘর থেকে যাও, যাও, কাজ নষ্ট কোরো না । মানে বুঝতে পারলুম না। পঙক্তি ৭৩১-৭৪০ > বললে, “রঞ্জনের কথা তুমি আমাকে বল। বল তাকে কি রকম ভালবাস।” আমি কতক্ষণ বলে গেলুম কত কি কথা তার ঠিক নেই। ও আমার দিকে একদৃষ্টি তাকিয়ে চুপ করে শুনে গেল। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করে উঠল, “ওর জন্যে তুমি প্রাণ দিতে পার ?” আমি বল্লুম, “এখখনি।” ও বললে, “তাতে তোমার কি লাভ ?” আমি বল্লুম, “তা আমি জানিনে।” খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে থেকে ও কি রকম চঞ্চল হয়ে উঠল— বললে, “যাও, যাও, তুমি শীঘ্র আমার ঘর থেকে চলে যাও।” আমি বললুম, “কেন ?” ও বললে, “আমার সব কাজ নষ্ট হয়ে যাবে।” আমি কিন্তু তার মানে বুঝতে পারলুম না। কেন নষ্ট হবে ? ९ বললে, “রঞ্জনের কথা আমাকে বল, বল তাকে কি রকম ভালোবাসো, কতোখানি।” কতক্ষণ বলে গেলুম কত কি কথা। ও যেন মস্ত একজন লোভী ছেলের মত একদৃষ্টে তাকিয়ে চুপ করে শুনলে। হঠাৎ একসময় আমাকে চমকিয়ে দিয়ে বলে উঠল, “ওর জন্যে তুমি প্রাণ দিতে পার ?” আমি বললুম, “এখখনি।” “তাতে তোমার কি লাভ ?” বললুম, “জানিনে।” খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে থেকে হঠাৎ চঞ্চল হয়ে উঠল, বললে, “যাও তুমি আমার ঘর থেকে। আমার কাজ নষ্ট কোরো না।” আমি তার মানে বুঝতে পারলুম না । কেন নষ্ট হবে ? WS) বললে, “রঞ্জনের কথা আমাকে বল । বল তাকে কি রকম ভালোবাসো।” কতক্ষণ বলে গেলুম কত কি কথা। মস্ত একজন লোভী ছেলের মত এক দৃষ্টে তাকিয়ে চুপ করে শুনলে। হঠাৎ চমকিয়ে দিয়ে বলে উঠল “ওর জন্যে প্রাণ দিতে পার ?” আমি বললুম “এখখনি।” ও যেন রেগে গৰ্জ্জন করে ఇ>సె ዓ\©¢ ●8の