পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশু এখানে তো চার দিকেই সর্দারের ছায়া, এড়িয়ে চলবার জো কী ?— সর্দারকে কেমন লাগে ? नन्मिनी ওর মতো মরা জিনিস দেখি নি। যেন বেতবন থেকে কেটে আনা বেত। পাতা নেই, শিকড় নেই, মজ্জায় রস নেই, শুকিয়ে লিকলিক করছে। বিশু প্রাণকে শাসন করবার জন্যেই প্রাণ দিয়েছে দুর্ভাগা। नन्मिनी চুপ করো, শুনতে পাবে। বিশু চুপ করাটাকেও যে শুনতে পায়, তাতে আপদ আরো বাড়ে। যখন খোদাইকরদের সঙ্গে থাকি তখন কথায়-বার্তায় সর্দারকে সামলে চলি । তাই ওরা আমাকে অপদাৰ্থ বলে অশ্রদ্ধা করেই বাঁচিয়ে পঙক্তি ৭৫১-৭৬০ > এখানে ত চারদিকেই সর্দারের ছায়া, ওকে কোথাও এড়িয়ে চলবার জো নেই। ওকে তোমার কেমন লাগে ? একটুও ভাল লাগে না। ওর মত মরা জিনিষ আমি দেখিনি ও যেন বেতবন থেকে কেটে আনা বেত, ওর পাতা নেই, ফল নেই, শিকড় নেই, মজ্জায় রস নেই, কোথাও কিছু দরদ নেই শুকিয়ে লিকলিক করচে । ঠিক বলেচিস, ওর মরার মধ্যে বিরাম নেই, ও মরেই চিরদিন টিকে আছে। প্রাণকে শাসন করবার জন্যেই ও প্রাণ দিয়েচে– মকরের চেয়েও ও কৃপাপাত্র । চুপ কর, চুপ কর, পাগল ভাই, তোমার কথা ও শুনতে পাবে। চুপ করাকেও যে ও শুনতে পায় তাতে আপদ আরো বেশি, তার চেয়ে কথা শুনিয়ে দেওয়া ভাল। আসল কথা জানিস, পাগলি, যখন আমি সুরঙ্গ খোদার কারিগরদের সঙ্গে থাকি তখন আমি কথায় বাৰ্ত্তায় সর্দারকে সামলে চলি । Šरे বিশু এখানে ত চারদিকেই সর্দারের ছায়া। কোথাও এড়িয়ে চলবার জো নেই। ওকে তোমার কেমন লাগে ? নন্দিনী একটুও ভাল লাগে না। ওর মত মরা জিনিষ আমি দেখি নি। যেন বেতবন থেকে কেটে আনা বেত, তেল দিয়ে চিকচিকে করে তোলা, – ওর ミミ* Գ( (շ ԳՆ2O