পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ケ বাদ গিয়ে কেবল পণ্ডিতটি বাকি রয়েচে । তাই আমাদের রাজা যেমন ভয়ঙ্কর রাজা, আমিও তেমনি ভয়ঙ্কর পণ্ডিত । নন্দিনী আমার সঙ্গে ঠাট্টা করচ তুমি । তোমাকে ত ভয়ঙ্কর বলে ঠেকে না । অধ্যাপক তুমি যে নিজের শক্তিতে আমাকে জালের বাইরে টেনে আন, তোমার চোখের সামনে আমার ভাঙা মানুষ জোড়া লাগে। বেশ বুঝতে পারচি একদিন তুমি আমাদের রাজাকেও জালের বাইরে টেনে নিয়ে আসবে। যে ছিল রাজা সে হঠাৎ মানুষ হয়ে উঠবে। সেদিন আমাদের সর্দারদের মুখের ভাব যে কি রকম হবে সেই কথা মনে করে আমার হাসি পাচ্চে । নন্দিনী একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। আমার রঞ্জনকে কি ওরা এখানে আসতে দেবে না ? অধ্যাপক জানি নে। কিন্তু কাজ কি ? আমাদের এই মরা ধনের মধ্যে তোমার সেই প্রাণের ধনকে— পূর্বানুগ। (i) আন, > আন,— তাছাড়া এই খসড়ার পাঠে যে দুটি সংযোজন ঘটেছে তা নিম্নরূপ : (i) আমার হাসি পাচ্চে। যক্ষপুরীতে যারা থাকে হাসির জোর তারা বুঝতেই পারে না। খুব বেশি মোটা রকমের জোর না হলে তাদের সাড়া পাওয়া যায় না "যক্ষপুরীতে যারা যায় না। —এই অংশটি পেন্সিলে লেখা সংযোজন, কিন্তু কার হাতের লেখা তা বোঝা যায় না। (ii) তোমার সেই প্রাণের ধনকে-– > তোমার সেই প্রাণের ধনকে কেন (কেন আনতে চাও) ט\ 역 পূর্বানুগ। সংযোজন : সেই আমার সব চেয়ে দুঃখ (i) টেনে আন > টেনে আন,— (ii) আসতে > আনতে (iii) তোমার চোখের সামনে > তোমার ঐ কালো চোখের চাহনি-মন্ত্রে br নন্দিনী আমি জালের বাধা মানিনে, আমি এসেচি ঘরের মধ্যে ঢুকতে। অধ্যাপক জান, নন্দিনী, আমিও আছি একটা জালের পিছনে। আমাতেও মানুষের