পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२ २ ט\ নন্দিনী না, আমার রঞ্জনকে আমি এখানেই আনব । অধ্যাপক চেষ্টা করে দেখ, কিন্তু বলে রাখচি যক্ষপুরীর সর্দাররা ক্ষ্যাপা হয়ে উঠবে। একা নন্দিনীতে রক্ষা নেই তার উপরে আবার রঞ্জন | নন্দিনী আমি তাকে আনবই । অধ্যাপক আনবেই ? যক্ষপুরের জোরের সঙ্গে পারবে ? নন্দিনী যক্ষপুরের জোরকে আমার ফাঁকি মনে হয়। ঐ যে ওরা মাটির দিকে মাথা হেট করে প্রাণপণে জোর খাটাচ্চে সে জোর পোঁচচ্চে কোথায় ? কোন তলাফাটা গৰ্ত্তে ? ওদের মাঝখানে বিধাতা যদি হঠাৎ খুব একটা হাসি হেসে উঠতে পারেন তাহলে ওদের চটকা ভেঙে যায়। রঞ্জন বিধাতার সেই হাসি । 인 অনেকাংশে পূর্বানুগ। ‘আনবেই ? ... রঞ্জন বিধাতার সেই হাসি পর্যন্ত পাঠ পূর্বানুগ। এর পরের অংশটি ৭ সংখ্যক পাঠে সংযোজিত : অধ্যাপক যক্ষপুরীতে যারা থাকে হাসির জোর তারা বুঝতেই পারে না। খুব মোটা রকমের জোর না হলে তাদের সাড় পাওয়া যায় না । br নন্দিনী আমার রঞ্জনকে এখানে আনবই । অধ্যাপক একা নন্দিনীকে নিয়েই যক্ষপুরীর সর্দাররা হতবুদ্ধি হয়ে গেচে রঞ্জনকে আনলে তাদের হবে কি ? নন্দিনী ওদের মাঝখানে বিধাতা যদি হঠাৎ খুব একটা হাসি হেসে উঠতে পারেন তাহলেই ওদের চটকা ভেঙে যেতে পারে। রঞ্জন বিধাতার সেই হাসি । অধ্যাপক যক্ষপুরীর সর্দাররা হাসির জোর বোঝে না, গায়ের জোর বোঝে। ఏ আনতে চাও ? তোমার খোপার ঐ রক্তকরবীকে কি লোহার শিকলের সূত্রে গাথা চলে ? নন্দিনী আমার রঞ্জনকে এখানে আনবই এই আমার পণ ।