পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'III Q: ৪ [ দৃশ্যান্তর চিহ্ন ] অধ্যাপক ও পুরাণবাগীশ পুরাণবাগীশ ভিতরে কি প্রলয় কাণ্ড হচ্চে বল ত । ভয়ঙ্কর শব্দ যে | অধ্যাপক রাজা বোধহয় নিজের উপর নিজে রেগেচে । তাই নিজের তৈরি একটা কিছু চুরমার করে দিচ্চে। পুরাণবাগীশ মনে হচ্চে বড় বড় থাম সব হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্চে। অধ্যাপক অনেকদিন সংগ্রহ করতে করতে হঠাৎ সংগ্রহ নেশার উল্টো ধাক্কাটা ওকে লেগেচে । নিজের লোকসান করবার জন্যে ও যেন হন্যে হয়ে উঠেচে । আমাদের ঐ পাহাড়তলা জুড়ে একটা সরোবর ছিল, শঙ্খিনী নদীর জল এসে ওতে জমা হত । হঠাৎ একদিন তার বাদিকের মস্ত পাথরের দেয়ালটা কাৎ হয়ে পড়ল, আর সমস্ত জমা জল পাগলের অট্টহাসির মত খল খল করে বেরিয়ে চলে গেল। এতদিনের সঞ্চয়কে একদিনেই আত্মঘাতী আনন্দে শূন্য করে দিলে। ইদানীং রাজাকে দেখে মনে হচ্চে ওর সঞ্চয় সরোবরের পাথরটাতে চাড় লেগেছে— তলাটা ভিতরে ভিতরে وا\ সর্দার । না তুমি যাও, আমি এখানে নন্দিনীকে ঠেকিয়ে রাখচি। সকলের প্রস্থান এখানে উল্লেখযোগ্য, সর্দার-মোড়ল-ছোট সর্দার শীর্ষক অংশ (৯৬০ পঙক্তি থেকে ১০১১ পঙক্তি পর্যন্ত পাঠ) ষষ্ঠ খসড়ায় সংযোজিত হয়েছে, এই অংশ পূর্ববর্তী খসড়াগুলিতে ছিল না। “সর্দার । না তুমি ... রাখচি।”-র পরবর্তী অংশ পূর্ববর্তী পাঠের অনুরূপ। (i) অনেকদিন সংগ্রহ > চিরকাল সংগ্ৰহ 이 পূর্বানুগ। (i) চিরকাল সংগ্রহ করতে করতে আজ হঠাৎ সংগ্রহ নেশার উল্টো ধাকাটা ওকে লেগেচে । নিজের লোকসান করবার জন্যে ... > সংগ্রহ করতে (ii) যেন হন্যে > যেন হঠাৎ হন্যে br সর্দার না, তুমি যাও, আমি এখানে নন্দিনীকে ঠেকিয়ে রাখচি । (সকলের প্রস্থান)