পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ 8 নন্দিনী আমার রঞ্জনের জোর তোমাদের শঙ্খিনীনদীর মতো। ঐ নদীর মতোই সে যেমন হাসতেও পারে তেমনি ভাঙতেও পারে। অধ্যাপক, তোমাকে আমার আজকের দিনের একটি গোপন খবর দিই। আজ রঞ্জনের সঙ্গে আমার দেখা হবে । অধ্যাপক জানলে কী করে ? >○○。 নন্দিনী হবে হবে, দেখা হবে। খবর এসেছে। অধ্যাপক সর্দারের চোখ এড়িয়ে কোন পথ দিয়ে খবর আসবে ! নন্দিনী যে পথে বসন্ত আসবার খবর আসে সেই পথ দিয়ে । তাতে লেগে আছে আকাশের রঙ, বাতাসের লীলা । অধ্যাপক তার মানে, আকাশের রঙে বাতাসের লীলায় উড়ো খবর ১১০ পঙক্তি ১০১-১১০ \ט তার যে জোর সে তোমাদের শঙ্খিনী নদীর মত। ঐ নদীর মতই সে বাধা মানে না, পাথর ঠেলে ফেলে, তবু সেটা বড় কথা নয় ; ঐ নদীর মতই সে যে নাচে, গায়, আনন্দে মরীয়া হয়ে ছোটে, সেইটেই তার আসল ধন, সেইটেই সে সবাইকে ছড়িয়ে দিয়ে চলতে থাকে।

  • অধ্যাপক

আর কুড়োতে গিয়ে অন্য ধনের কথা মানুষ ভুলে যায়। যক্ষপুরীতে সে চলবে না। নন্দিনী যক্ষপুরে তোমাদের যত অর্থ সব ঐ নীচের দিকের গৰ্ত্তে। আমার রঞ্জন যদি এখানে আসে তাহলে এখানকার সমস্ত আকাশ অর্থে ভরে যাবে। 이 নন্দিনী আমার রঞ্জনের জোর তোমাদের শক্তিখনী নদীর মত। ঐ নদীর যে বাধা মানে না। অনায়াসে পাথর ঠেলে ফেলে ; আবার ঐ নদীর সে নাচে, গায়, আনন্দে মরীয়া হয়ে ছোটে । Եনন্দিনী আমার রঞ্জনের জোর তোমাদের শঙ্খিনী নদীর মত। ঐ নদীর মতই মতই মতই