পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\)>こ অধ্যাপক ও বলে “বস্তুবিদ্যার অন্দরমহলে সিঁধ কাটচ। একটা দেয়াল ফুটাে হতেই আরেকটা দেয়াল বেরিয়ে পড়ে। দেখাও কোনখানে আছে প্রাণ পুরুষ !” হাঁপিয়ে উঠে বলে, “তাকে ছিনিয়ে আনতে চাই।” পুরাণবাগীশ এ মানুষটা যে বিদ্যের গঠিকাটা । সাধ্য থাকলে তত্ত্বরত্নটি বের করে নিজের থলি ভরতি করবার জন্যে বিশ্বের কীেটোখানা ও ভেঙে ফেলতে পারত। অধ্যাপক চোর যেমন রাজভাণ্ডারের তালায় নানান চাবী পরখ করে ও তেমনি জ্ঞানের নানা কুলুপ নিয়ে কেবলি নাড়াচাড়া করচে। পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকে কেটেও যদি প্রাণ রহস্য উদ্ধার হত ওর তাতে বাধত না। ও বলে জ্ঞানের তপোবনে দয়ামায়া ভালোবাসা ঢুকলেই তপোভঙ্গ হয়। & ক্ষয়ে এসেচে । পুরাণবাগীশ তোমাদের রাজা কি নিজের বেগ নিজে সামলাতে পারে না ? অধ্যাপক আরে ও কি আমাদের মত মানুষ ? ও যেন মানুষের ঝড় । ওর ভিতর দিয়ে সমস্ত যুগের ধাক্কা অন্ধবেগে লোকালয়ের উপর এসে পড়ে । পুরাণবাগীশ এ কোন জায়গায় আমাকে আনলে বলত ? আর কি করতেই বা আনলে ? অধ্যাপক জগতে যা কিছু জানবার আছে সমস্তই ও জানার দ্বারা আত্মসাৎ করতে চায়। বস্তুতত্ব নিয়ে আমার যতটা বিদ্যে ছিল প্রায় ত শেষ হয়ে এল। তাই তোমাকে এনেচি, এখন কিছুদিন ওকে পুরাণ আলোচনায় লাগিয়ে রাখ। 명 ט\ পূর্বানুগ। পূর্বানুগ। (i) আরে.ও কি আমাদের মত মানুষ ? ও যেন মানুষের ঝড়। > আরে ও কি আমাদের মত মানুষ ! ও যেন মানুষের বন্যা, 인 মানুষের ঝড় । Եր ক্ষয়ে এসেচে । f পুরাণবাগীশ তোমাদের রাজা কি নিজের বেগ নিজে সামলাতে পারে না ? অধ্যাপক আরে ও কি সাধারণ মানুষ ? ও যেন মানুষের বন্যা, মানুষের ঝড় । ওর ভিতর দিয়ে সমস্ত যুগের চণ্যলতা লোকালয়ের উপর এসে পড়ে।