পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)ミ○ চোখের চেয়ে চষমার পরেই ওর বেশি বিশ্বাস । পুরাণবাগীশ ও কি মনে করে চোখের চেয়ে চষমা ভালো দেখে ? অধ্যাপক দাঁতের চেয়ে ঘানিতে যেমন নারকেলের তেল ভালো বেরয়। ঘানি নারকেলের স্বাদ গন্ধ কিছুই পায় না, কিন্তু তেলটা পূরোপুরি বের করে দেয়। বাদসাধ দিয়ে দেখে চোখ দুটো, চষমা ষোলো আনা দেখা আদায় করে নেয়। চোখের পক্ষপাত আছে চষমা নিবির্বকার। মকর বলে, যেখানেই দরদ আসে সেইখানেই ভুল আসে। পুরাণবাগীশ জগৎটাকে ও তাহলে জ্যান্ত চোখ দিয়ে দেখে না। 曙 অধ্যাপক যদি দেখত তাহলে আমাদের বাপদাদার আমলের অক্ষয় বটটাকে কেটে ফেলে সেখানে ওর জীতাকল বসাতে পারত না। চষমা দিয়ে ও হিসাব দেখে, চোখ দিয়ে ছবি দেখে না। পুরাণবাগীশ তাহলে ঐ যে চরের কথা বললে সেও বুঝি ওর কানের চষমা ? তার শোনাও জ্যান্ত শোনা নয় ? : অধ্যাপক এখানে দেখাশোনার সমস্ত কারবারই সন্দেহের উপর। যাচাই করে করেই সমস্ত সময় যায়, যাচাই সারা করে গ্রহণ করবার অবকাশই পায় না। পুরাণবাগীশ এ কেমনতরো ব্যাপার হে ? মানুষের সঙ্গে এমন সন্দেহের সম্বন্ধ নিয়ে कि অধ্যাপক এরা ত তোমার সঙ্গে প্রণয় করতে চায় না, ব্যবহার করতে চায়। এদের ভয়, পাছে দামে ঠকে। কেবলি ঠং ঠং করে বাজিয়ে দেখে। যাকে বাজায় তার যে বাজে সেটাতে আসে যায় না। পুরাণবাগীশ দাদা, এতদিন টিকে আছ কেমন করে ? অধ্যাপক একেবারে শুকিয়ে গেছি বলেই টিকে আছি। তোমারো একদিন রস সব মারা যাবে, আমার মত মজবুৎ হয়ে উঠবে। পুরাণবাগীশ মকরের সঙ্গে দেখা হবে কখন, আর কোথায় ? অধ্যাপক h দেখা বলতে যা বোঝায় তা কখনই হবে না, কোথাও হবে না। পুরাণবাগীশ ঘরে ?