পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミ8 অধ্যাপক ঘরে ঢোকবার ভরসা রেখো না । অধ্যাপক এই যে দেয়ালের গায়ে দেখচ জাল-দেওয়া কি একটা বিচিত্র ব্যাপার, ওরই ফাঁকগুলো দরকার মত ও বাড়াতে কমাতে পারে। ঠিক যতটুকু দেখাশোনা পছন্দ, ওর মধ্যে দিয়ে কেবল ততটুকুই আদায় করে নেয়। পুরাণবাগীশ বুঝলুম ও থাকবে জালের ভিতরে আমি বাইরে। তারপরে ? অধ্যাপক তারপরে রসিয়ে রসিয়ে আলাপ নয়। ছাঁকা কথাগুলি একদমে বলে চলে আসতে হবে । ওর সঙ্গে ব্যবহার করে বাজে কথা বলবার বিধিদত্ত ক্ষমতাই চলে গেচে। ওর গোয়ালের গোরু বোধহয় দুধ দিতে জানে না, একেবারেই মাখন দেয় । পুরাণবাগীশ তবে ? (? পুরাণবাগীশ হট্টগোলকেও আনমনা করে দেয় বুঝি ? অধ্যাপক এক একদিন ওর চলার হাওয়াতেই আমার বস্তুতত্ত্বচর্চার জাল ছিড়ে যায়। ফাকের মধ্যে দিয়ে মনোযোগটা বুনো পাখীর মত হুস করে উড়ে পালায় ! পুরাণবাগীশ বল কি হে ? তোমারো এমন দশা ঘটে ? অধ্যাপক জানার টানের চেয়ে প্রাণের টান বেশি হলেই পাঠশালা পালাবার ঝোঁক সামলানো যায় না । পুরাণবাগীশ তোমাদের মনিবের নাম কি বললে না ত ? অধ্যাপক ও বলে ওর নামকরণ এখনো শেষ হয়নি। একদিন জগতের লোকের কাছে নাম অর্জন করে নেবে। পুরাণবাগীশ কিন্তু তোমরা ত ওকে যাহয় একটা কিছু নাম দিয়েচ ! অধ্যাপক তা দিয়েচি। রোসো দেখি, কেউ শুনচে কিনা। এখানে চারদিকেই চর। ওকে আমরা বলি মকর। পুরাণবাগীশ কেন বল ত ?