পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক 疊 তত্ত্বর উপর রাগ করা মিছে। সে ভালোও নয়, মন্দও নয়। যেটা হয় সেটা হয়, তার বিরুদ্ধে যাও তো হওয়ারই বিরুদ্ধে যাবে। नन्निनैी এই যদি মানুষের হওয়ার রাস্তা হয় তা হলে চাই নে আমি হওয়া। আমি ঐ ছায়াদের সঙ্গে চলে যাব, আমাকে রাস্তা দেখিয়ে मी७ ॥ অধ্যাপক রাস্তা দেখাবার দিন এলে এরাই দেখাবে, তার আগে রাস্তা বলে কোনো বালাই নেই। দেখো-না, পুরাণবাগীশ আস্তে আস্তে কখন সরে পড়েছেন, ভেবেছেন পালিয়ে বাঁচবেন। একটু এগোলেই বুঝবেন বেড়াজাল এখান থেকে শুরু করে বহু যোজন দুর পর্যন্ত খুঁটিতে খুঁটিতে বাধা – নন্দিনী, রাগ করছ তুমি । তোমার কপোলে ψ. Έμας" পঙক্তি ১১২১-১১৩০ > ঐ দেখ ওটা রাগের কথা হল। যে-বড়কে তুমি দেখেচ, দেখে আশ্চৰ্য্য হয়েচ, তার বড় হবার একটা নিয়ম আছে ত । তাকে রাক্ষস বলে গাল দিতে পার। কিন্তু নিয়ম হচ্চে নিয়ম। সে ভালোও নয় মন্দও নয় । অধ্যাপক, ঐ দেখ না, চেয়ে দেখ না । ওরা যে সব তুষের মত হয়ে গেছে, ভিতরে ধান একেবারেই নেই। মানুষের কি এমন দশা দেখা যায় ? এক আধজন নয়, সার বেঁধে চলেইচে । তুমি আজ দেখলে ? আমরা এমন কত দেখেচি। কত দেশের কত মানুষ, কত মায়ের কত ছেলে । সেই মানুষ, সেই মা, তাদের প্রাণ, তাদের ব্যথা, তারও কি কোনো তত্ত্ব নেই ? কেবল রাক্ষসের মত হবার তত্ত্বটাই জগতে একলা আছে। তা দেখ, যা আছে তা আছেই। মন্দ বলে সেটাকে ত্যাগ করা হচ্চে একেবারে হওয়ারই বিরুদ্ধ। চাইনে আমি এমন হতেই চাইনে। একেই যদি মানুষের হওয়ার রাস্তা বল, তাহলে মানুষের না হওয়াই ভাল। আমি ঐ ছায়াদের সঙ্গে যাব, আমাকে রাস্তা দেখিয়ে দাও । এ রাজ্যে ঐ রাস্তা একদিন তোমাকেও দেখতে হবে, আমাকেও দেখতে হবে। কিন্তু আজ ত জানিনে কোথা দিয়ে যেতে হয়। এখানকার শাসন সুশাসন, এ হল নিয়মের রাজত্ব। উল্টোপাল্টা হবার জো নেই। ॐ অধ্যাপক ওটা রাগের কথা হল । বড়কে দেখে আশ্চৰ্য্য হয়েচ, সেই বড় হবার こ ○ ○○ ○ >>S(t >>\ー)○