পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)やミ শ্যামে সোনায় মিলন হল এই যে মাঠের মাঝে, ভালোবাসার মাটি মোদের তাইত এমন সাজে । মোরা নেব তারি দান তাই যে কাটি ধান, তাই যে গাহি গান তাই যে সুখে খাটি। আমাদের গায়ের বাঁশ বাগানে, নদীর ধারের বাবলা বনে, পথের পাশে সর্শে ক্ষেতে এই পৌষের রোদুর এই পৌষের গানের কথা কতবার এখানে বসে ভেবেচি, কিন্তু আজ বুঝতে পারচি সে গায়ে যদি কখনো যাই আর কোনোদিন আমি এ গানে যোগ দিতে পারব না। সে পৌষের রোদুর আমার গেল মরে । ওরে কঙ্কু, আমি কি জানতুম তোর আজ এই দশা হবে, তাহলে কোনোদিন আমি কি ছল করেও তোকে দুঃখ দিতে পারতুম । আজ ত রঞ্জনের সঙ্গে আমার দেখা হবে, কিন্তু তাকে নিয়ে আমি সুখ পাব একথা মনে করতে আমার ভাল লাগচে না। আমার সেই ধানী রঙের কাপড় তার ভাল লাগত সেইখানি বের করেছিলুম। কিন্তু সে আর কোনোকালে পরা হবে না। ওদের মুখে যে মরণের ছায়া দেখেচি, আমার মনের উপরে সেই ছায়ার ঘোমটা পড়েচে– সে ঘোমটা আর কোনোদিন উঠবে না। ও কি ও ! আৰ্ত্তনাদ করে উঠল কে ? এ বোধ হচ্ছে সেই আমাদের পালোয়ান । কোন পালোয়ান ? সেই যে জগদ্বিখ্যাত গৰ্জ্জু পালোয়ান। ওর ভাই ভজু স্পৰ্দ্ধা করে আমাদের রাজার সঙ্গে কুস্তি করতে এল, তারপরে হেরে গিয়ে তার যে কি হল তা কেউ বলতে পারে না, তার লঙোটি তার খড়মটা পৰ্যন্ত কোথাও দেখা গেল না। সেই রাগে গৰ্জ্জু এসেছিল তাল ঠুকে । আমি ওকে বলেছিলুম এখানে সুরঙ্গ খুদতে চাও ত এসো, মরতে মরতেও কিছুদিন বেঁচে থাকবে, আর যদি পৌরুষ দেখাতে চাও ত এক মুহূৰ্ত্তও সইবে না। এ বড় কঠিন জায়গা। এখানে এক বার এসে পড়লে যদি, তাহলে টিকে থাকা শক্ত হতে পারে, কিন্তু চলুম বলা আরো শক্ত। এই দেখ না, আমাদের পুরাণবাগীশ কখন আস্তে আস্তে সরে পড়েচেন ! ভেবেচেন পালিয়ে বাঁচবেন । কিছুদূর গেলেই বুঝবেন একটা ফাঁক যদি বা থাকে আরেকটা ফাঁক বন্ধ। তা এখান থেকে আরম্ভ করে এদের বেড়াজাল কতদূর চলে গেছে, দেশ বিদেশের কত ঘাটে যে তার খুঁটি বাধা তার ঠিকানা নেই। কিন্তু অধ্যাপক, কেন ? দিনরাত এই মানুষ-ধরা জালের খবরদারী করে করে এরা কি একটুও S. বললে, বেশিক্ষণ লাগবে না। আমি সঙ্গে যেতে চাইলুম— দিলে না। ঐ শুনতে পাচ্চ ? অধ্যাপক কি বল ত ? _ নন্দিনী গান । অধ্যাপক কিসের গান ?