পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিশ্চয় ওকে ততটুকু বাঁচিয়ে রাখবে। কিন্তু, বৎসে, এ-সব আলোচনা তোমাদের মুখে শুতিকটু লাগে, আমরা পছন্দ করি নে। নন্দিনী এ রাজ্যে বঁচিয়ে রাখার বুঝি পরিমাণ-বিচার আছে ? গোঁসাই আছে বৈকি। পার্থিব জীবনটা যে সীমাবদ্ধ । তাই হিসাব বুঝে তার ভাগ-বাটোয়ারা করতে হয়। আমাদের শ্রেণীর লোকের পরে ভগবান দুঃসহ দায়িত্ব চাপিয়েছেন, সেটা বহন করতে গেলে আমাদের ভাগে প্রাণের সারাংশ অনেকটা বেশি পরিমাণে পড়া চাই। ওদের খুব কম বাঁচলেও চলে, কেননা ওদের ভার-লাঘবের জন্যে আমরাই বাচি । এ কি ওদের পক্ষে কম বাচোয়া ? নন্দিনী গোসাইজি, ভগবান তোমার উপরে এদের কোন উপকারের পঙক্তি ১২১১-১২২০ X নিশ্চয়ই ওকে ততটুকু বাঁচিয়ে রাখবেই, এসব আলোচনায় তোমাদের থাকা ভালো নয় । এখানে বঁচিয়ে রাখার বুঝি একটা হিসেব আছে ? আছে বই কি, বৎসে। পৃথিবীর জীবন যে সীমাবদ্ধ। এই জন্যে তার অংশ ভাগ নিয়ে একটু বিচার করতে হবে বই কি। রাজার পরে, আমাদের পরে ভগবান জগতের যে দুঃসহ বোঝা চাপিয়েচেন সেটা বহন করতে গেলেই জীবনের রস এই তরফে একটু বেশি আদায় করে নিতে হয়। নইলে ভগবানের আদেশ টেকে না। ওরা যদি ধৈর্য্য ধরে একটু বুঝে দেখে তাহলে দেখতে পাবে আমাদের বাচাতেই ওদের বাচা। নেহাৎ কম বেঁচেও যাতে ওদের চলে এই জন্যেই জীবন উৎসর্গ করেচি, একি ওদের পক্ষে কম বাচোয়া ! তাহলে, গোসাইজি, ওদের তুমি কোন বিশেষ উপকার ९ নিশ্চয়ই ওকে ততটুকু বাঁচিয়ে রাখবেই। কিন্তু এসব আলোচনা তোমাদের মুখে কেমন শুতিকটু শোনায়। আমরা পছন্দ করিনে । नन्नििर्नी এ রাজ্যে বঁচিয়ে রাখার বুঝি একটা হিসেব আছে ? গোসাই আছে বই কি, বৎসে। পার্থিব জীবনটা যে সীমাবদ্ধ। এইজন্যেই তার অংশ ভাগ নিয়ে বিচার করতেই হয় । আমাদের শ্রেণীর লোকের পরে ভগবান ૨ (? ○bア(2 >ミ>Q >ミペの