পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্দার আজই ডাকাব, তুমি যাও। মোড়ল প্রভু, আমার সেজো ছেলে লায়েক হয়ে উঠেছে। প্রণাম করতে এসেছিল, তিন দিন হাঁটাহাটি করে দশন না পেয়ে ফিরে গেছে। বড়োই মনের দুঃখে আছে। প্রভুর ভোগের জন্যে আমার বধুমাতা নিজের হাতে তৈরি ছচিকুমড়োর— · সর্দার আচ্ছা, পরশু আসতে বোলো, দেখা মিলবে। মোড়লের প্রস্থান মেজো সর্দারের প্রবেশ মেজো সর্দার নাচওয়ালি আর বাজনদারদের বাগানে রওনা করে দিয়ে এলুম। সর্দার আর, রঞ্জনের সেটা কত দুর— মেজো সর্দার এ-সব কাজ আমার দ্বারা হয় না। ছোটো সর্দার নিজে পছন্দ করে ভার নিয়েছে। এতক্ষণে তার— পঙক্তি ১৪২১-১৪৩০ S প্রভু, আমার বড় ছেলে আপনাকে প্রণাম করতে এসেছিল, দুদিন এসে দেখা না পেয়ে ফিরে গেচে । তাই বড় মনের দুঃখে আছে। আচ্ছা, পশু আসতে বোলো, দেখা মিলবে। এই যে মেজো সর্দার । আমি বাজদারদের বাগানে রওনা করে দিয়েচি, তুমি যে আজ এত সকাল সকাল সেজে প্রস্তুত হয়েচ, এখনি বেরবে না কি ? : আমার স্ত্রী আর ছেলেরা অনেকদিন পরে আসচে– তাই ভাবচি কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসব। এতকাল অপেক্ষা করেছিলে, আর এই ঘণ্টাকয়েকের দেরী বুঝি সইচে না ? আশার জিনিষ যখন দূরে থাকে তখনি ধৈৰ্য্যের দরকার হয়, যখন কাছে আসে তখন ধৈর্য্য দূরে চলে যায়। কিন্তু মেজো সর্দার, তুমি ত আসল কথাটি ভোলো নি ? যা বলেচি তা করেচ ত ? কোন কথাটা বলচ ? সেই যে রঞ্জনের । তাকে ত— 88& >8ミQ >8○○