পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ー ご না। কিন্তু জালের আড়ালের মানুষ চিরদিনই কি জালে বাঁধা থাকবে ? যাও, যাও, যাও । মানুষের প্রাণ ছিড়ে নিয়ে তাকে নাম দিয়ে ভোলাবার ব্যাবসা তোমার । গোসাইয়ের প্রস্থান ফাগুলাল ও চন্দ্রার প্রবেশ ফাগুলাল বিশু তোমার সঙ্গে এল, সে এখন কোথায় ? সত্য করে বলো । নন্দিনী তাকে বন্দী করে নিয়ে গেছে। চন্দ্রা রাক্ষসী, তুই তাকে ধরিয়ে দিয়েছিস ! তুই ওদের চর। নন্দিনী কোন মুখে এমন কথা বলতে পারলে ! চন্দ্রা নইলে এখানে তোর কী কাজ ? কেবল সবার মন ভুলিয়ে ভুলিয়ে ঘুরে বেড়াস ! ফাগুলাল এখানে সবাই সবাইকে সন্দেহ করে, কিন্তু তবু তোমাকে আমি পঙক্তি ১৪৯১-১৫০০ S না— কিন্তু ঐ মানুষের মধ্যে একটা জায়গায় দরদ আছে আমি সে স্পষ্ট জানতে পেরেচি । তা যদি হয় তবে বসে থাক, আমার আবার পূজো আছে– সময় নষ্ট করতে পারব না। বৎসে, যাবার সময় একটা কথা বলে যাই, ভগবানের দক্ষিণ বাহু বড় দৃঢ়, তার থেকেই নিয়মবন্ধনের উৎপত্তি, তাতে যদি পীড়ন করে তবুও তা নম্রচিত্তে স্বীকার করে নিয়ো । গোসাইজি, সঙ্গে সঙ্গেই ভগবানের বামবাহু যদি মুক্তির আলিঙ্গন না দেয় তবে দক্ষিণ বাহুকে মানব না। তার মার খেয়ে মরব, তবুও না ! তুমি যাও, নাম শুনে যারা ভোলে তাদের নাম শোনাও গে !— শোনো, শোনো, আমার গলা কি শুনতে পাচ্চ না ? তুমি যে বলেছিলে, রঞ্জনের সঙ্গে আমার মিলন তুমি দেখতে চাও তোমার আপন ঘরের মধ্যে। আমি ত তাই এসেচি। কোথায় রঞ্জন, তাকে ডাক— তোমার দরজা খোলো। ঐ শুনচ ? তোমাদের উৎসবে আজ সানাই বাজচে । ঐ সানাই একই সঙ্গে আমাদেরও মিলনের সুর বাজাবে। >8ぬQ >Q ○○