পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q O° আমাকে না জানিয়ে রঞ্জনকে আমার পরীক্ষাশালায় পাঠিয়েচে । আমার নিজের যন্ত্র আমাকে মানচে না । ভাঙব এই যন্ত্ৰ ! ডাক তোরা, সর্দারকে ডেকে আন— বেঁধে নিয়ে আয় তাকে ! नन्मिनी রাজা, রঞ্জনকে জাগিয়ে দাও না । রাজা জাগাতে পারিনে, কাউকেই জাগাতে পারিনে। মারতে পারি বাঁচাতে পারিনে। বাঁচাবার শক্তিই দিনরাত খুঁজেচি– খুঁজতে গিয়ে ভেঙে ভেঙে পরীক্ষা পারিনি। \S) রাজা ঠকিয়েচে । আমাকে ঠকিয়েচে এরা। সর্দার আমাকে ঠকিয়েচে । না জানিয়ে রঞ্জনকে আমার— সৰ্ব্বনাশ ! আমার নিজের যন্ত্র আমাকে মানচে नीं । ডাক তোরা, সর্দারকে ডেকে আন, বেঁধে নিয়ে আয় তাকে । नन्निनैी রাজা, রঞ্জনকে জাগিয়ে দাও না ! রাজা জাগাতে পারিনে, কাউকেই জাগাতে পারিনে। মারতে পারি, বাঁচাতে পারিনে । নন্দিনী তবে কি রঞ্জন কোনোদিন জাগবে না ? রাজা কোনোদিনই না । নন্দিনী তবে আমাকে ঐ ঘুমেই ঘুম পাড়াও ! আমি সইতে পারচিনে। তুমি ত ঘুম পাড়াতে জানো। কেন এমন সৰ্ব্বনাশ করলে, রাজা ? রাজা লোভ,লোভ। ওরফেবনকেলেমি পত্রশূন্য করলুম, কিছুই পেলুম नां । পূর্বানুগ। (i) রাজা ? > রাজা ! ‘রাজা’র শেষোক্ত সংলাপের অংশটির পরিবর্তন করা হয়েছে এইভাবে : রাজা লোভ, লোভ, ওর যৌবনকে চেয়েছিলুম। পাত্র শূন্য করলুম, কিছুই পেলুম না। আমি যৌবনকে মেরেচি– এতদিন ধরে আমার সমস্ত শক্তি নিয়ে আমার সমস্ত ক্ষুধা নিয়ে আমি কেবল যৌবনকে মেরেচি। আমার ঘর ভরে G.