পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি ভেঙে ফেলি ওর দণ্ড, তুমি ছিড়ে ফেলো ওর কেতন। আমারই হাতের মধ্যে তোমার হাত এসে আমাকে মারুক, মারুক সম্পূর্ণ মারুক— তাতেই আমার মুক্তি। দলের লোক মহারাজ, একি কাণ্ড । একি উন্মত্ততা ! ধ্বজা ভাঙলেন – আমাদের দেবতার ধ্বজা, যার অজেয় শল্যের এক দিক পৃথিবীকে ১৬৩৫ অন্য দিক স্বগকে বিদ্ধ করেছে সেই আমাদের মহাপবিত্র ধ্বজদণ্ড । পূজার দিনে কী মহাপাতক — চল সর্দারদের খবর দিই গে। প্রস্থান রাজা এখনো অনেক ভাঙা বাকি। তুমিও তো আমার সঙ্গে যাবে নন্দিনী, প্রলয়পথে আমার দীপশিখা ? নন্দিনী যাব আমি । >やう8○ পঙক্তি ১৬৩১-১৬৪০ > ভাঙো ওটাকে, ভেঙে শতখানা কর । সেই ধূলোয় একেবারে মিলিয়ে যাক যে ধুলো থেকে কচি ঘাস বেরয়, বনলতায় ফুল ধরে । মহারাজ, এ কি করলেন, এ কি উন্মত্ততা ! পূজার দিনে এ কি মহাপাতক । যাই সর্দারদের খবর দিই গে, তারা আজ বাগানে চলে গেছে। খঞ্জন, লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর বেদীর উপরে এই ধ্বজার প্রতিষ্ঠা, আজ তাকে ভাঙলুম। এইবার সেই বেদীটাকে ভাঙতে যেতে হবে তুমি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবে ? यांद उठाांशिी । ২ রাজা এই যে আমার ধ্বজা এসেচে। ভাঙো, ভাঙো ওটাকে । সেই ধূলোয় মিলিয়ে যাক যে ধুলো থেকে ঘাস বেরয়, লতায় ফুল ধরে ছিড়ে ফেল ওর কেতন ! দলের লোক মহারাজ, এ কি কাণ্ড ! কি উন্মত্ততা ! পূজোর দিনে এ কি মহাপাতক । যা, ভাই, তোরা সবাই যা, শিগগির যা, সর্দারদের খবর দে। তারা বাগানে চলে গেচে । " - রাজা নন্দিনী, লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর বেদীতে এই ধ্বজার প্রতিষ্ঠা । আজ