পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ( Հ এখানে চতুর্থ খসড়াটি উল্লিখিত হল না। এ বিষয়ে অনতিপরেই আলোচনা করা হয়েছে। চতুর্থ খসড়াটি রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহে না থাকায় তার পাণ্ডুলিপি-সংখ্যা উল্লেখ করার প্রশ্ন ওঠে না। খসড়ার কম অনুসারে পাণ্ডুলিপিগুলি এইভাবে সন্নিবেশিত করা যায় : প্রথম খসড়া : 151 (ix) দ্বিতীয় খসড়া : 151 (v) তৃতীয় খসড়া : 15 l (iii) eq<< (iv) পঞ্চম খসড়া : 151 (i) এবং (ii) ষষ্ঠ খসড়া : 149 (ii) সপ্তম খসড়া : 151 (vii) অষ্টম খসড়া : 151 (viii) ' নবম খসড়া : 149 (i) দশম খসডা : 151 (vi) বস্তুত, উল্লেখ করা যেতে পারে যে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় যে পাঠ মুদ্রিত হয়, যে পাঠ পরবর্তীকালে গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয়, তাকেই চূড়ান্ত পাঠ বলা যায় এবং এই পাঠের সঙ্গেই পাঠকের পরিচয় ঘটে এসেছে ‘রক্তকরবী রূপে। দশম পাঠের সঙ্গে উপরোক্ত মুদ্রিত পাঠের তুলনায় দেখা যায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে একাদশ পাঠে পরিবর্তন করা হয়েছে সংলাপের এবং যতিচিহ্নের । ‘প্রবাসী’তে প্রকাশের জন্য যে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করা হয়, কবি যে নিজেই সেই পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছিলেন, তা অনুমান করা যেতে পারে। রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহের অন্তর্ভুক্ত পূর্বোত্ত পাণ্ডুলিপিগুলি ছাড়া আর-একটি পাণ্ডুলিপির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৭৮ সালেই। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে 'বহুরূপী'র তদানীন্তন সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও উদ্দিষ্ট পাণ্ডুলিপির ফোটোকপিটি চোখে দেখারও সুযোগ পাই নি। শ্রীকুমার রায়-সম্পাদিত 'বহুরূপী পত্রিকায় (২৫ বৈশাখ ১৩৯৩, ৮মে ১৯৮৬) সেই পাণ্ডুলিপির পাঠ প্রকাশিত হয়েছে। পুলিনবিহারী সেনের কাছ থেকে শুনেছিলাম— সেই পাণ্ডুলিপি বর্তমানে জনৈকা গুজরাতি মহিলার ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে। ‘রক্তকরবী'র এই কাজে অগ্রসর হবার পর রানী মহলানবিশের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ঘটেছিল। 'রক্তকরবী সংক্রান্ত একটি দুর্লভ মুখবন্ধ'-র ফোটোকপি তিনি আমাকে এই কাজে ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন। ‘রক্তকরবী রচনার সময় মহলানবিশ পরিবারের সঙ্গে যে কবির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, অনেকেরই তা জানা আছে । প্রশ্ন উঠবে, বহুরূপী পত্রিকায় মুদ্রিত রচনার পাণ্ডুলিপিটি কোন স্তরের খসড়া। দেখা যাচ্ছে, পাণ্ডুলিপির মলাটে লেখা আছে "নন্দিনী’, কবির নিজের হস্তাক্ষরে । রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহে 15 (i) এবং (ii) শীর্ষক যে পাণ্ডুলিপিটি সংরক্ষিত হয়েছে,