পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? ど)○ (খ) শেষ অংশ : দিয়ে যাও তখন না হয় একটু সাড়া দিয়েই বা গেলে । একটু দাড়াও, দুটাে কথা বলি। নন্দিনী আমাকে তোমার কিসের দরকার ? অধ্যাপক দরকারের কথা যদি বললে, ঐ চেয়ে দেখ । আমাদের খোদাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বোঝা মাথায় কীটের মত বেরিয়ে আসচে। এই যক্ষপুরে আমাদের-যা কিছু ধন, সব ঐ ধূলোর ধন সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে সোনা সে ত ধূলোর নয়, সে যে আলোর । তুমি কোন সুবর্ণরেখা নদী বেয়ে, গিরিশিখরের রহস্য নিয়ে এই গুহাচরদের গৰ্ত্তের ধারে এসে পোঁচেছ। যে গ্রহ তোমাকে এনেচেন তার অভিসন্ধি কি তাই ভাবি । এর শেষ কোথায় ? 䲁 নন্দিনী তুমি বারে বারে ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের, অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে আলো আসে তাতে কেউ বিস্মিত হয় না, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে তুমি সেই আচমকা আলো । তুমিই বা এখানকার কথা কি ভাবচ বল দেখি ? ফাগু 廳 আমার দলবল ত এখনো এসে পৌঁছল না। রাজা ఈ శా శా ఊజ్ఞాడా, తాజా ! বিশুপাগলকে তারা আমার কাছে এনে দেবে বলে গিয়েছিল সে কি আর হবে না ? রাজা সর্দার যখন সতর্ক হয়েচে তখন আর উপায় নেই। পথঘাট আটক করতে তার মত কেউ নেই। ফাগুলাল তাহলে শীঘ্ৰ চল, নন্দিনী, তোমাকে নিরাপদ জায়গায় রেখে আসি নন্দিনী কেবল আমিই একলা নিরাপদে থাকব ? আমার প্রাণের সার্থী গেল, (히 | আমার গানের সাখী গেল ! সন্ধ্যাতারায়, শেষ চাওয়া তোর রইল কি ঐ যে, সন্ধ্যা হাওয়ায় শেষ বেদনা বইল কি ঐ যে !