পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ と ゲ এই সূত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৩৩৩ সালে প্রকাশিত (বিশ্বভারতী গ্রন্থালয়, ২১৭ কর্নওয়ালিস স্ত্রীট, কলকাতা এবং জগদানন্দ রায় -কর্তৃক শাস্তিনিকেতন প্রেস থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত) সংস্করণই রবীন্দ্রনাথের জীবিতাবস্থায় প্রকাশিত নাটকটির শেষ সংস্করণ । অতঃপর, ১৩৫২ সালের সংস্করণটি পুলিনবিহারী সেন -কর্তৃক সম্পাদিত। এই সময় থেকে, ‘রক্তকরবী'র পাঠ আধুনিক মুদ্রণ-রীতির অনুসারী হয়ে আসছে ছেদচিহ্ন ও বানানের ক্ষেত্রে, রবীন্দ্রনাথ-কৃত মূল ছেদচিহ্ন ও বানানের রূপ বহুলাংশে বর্জিত হয়ে । এখন, পাণ্ডুলিপিতে কবি কীভাবে খসড়াগুলি লিপিবদ্ধ করেছেন, তা জানা দরকার। একটি পৃষ্ঠাকে দুই সমান ভাগে লম্বালম্বিভাবে ভাঁজ করে বাঁদিকের অংশ মূল পাঠের জন্য এবং ডানদিকের অংশটি সংশোধন বা সংযোজনের কাজে ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছে পাণ্ডুলিপিগুলিতে। এই বিশিষ্ট লিখনপদ্ধতির কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চম খসড়ার পাণ্ডুলিপিতেও (পাণ্ডুলিপি সংখ্যা 151 (ii) ) একই পদ্ধতি অনুসৃত হতে দেখি। দেখা যাচ্ছে, ডান দিকের ফাঁকা অংশটিতে, সংশোধন ও সংযোজনের কাজ ছাড়াও, মাঝে মাঝে ইংরেজিতে কিছু কিছু শব্দ উল্লেখ করেছেন। এই ইংরেজি শব্দগুলি বা বাক্যাংশগুলি মূল পাঠের সঙ্গে যুক্ত নয়। ইতস্তত বিক্ষিপ্তভাবে ব্যবহৃত এইসব শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কবিমনের রহস্য-উদঘাটনের ক্ষেত্রে এগুলি মূল্যবান চাবিকাঠি হতে পারে। শব্দগুলি কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তা দেখানো গেল : সংশ্লিষ্ট সংলাপের_অংশ শব্দ-তালিকা ১ আমরা সেই মরাধনের শব সাধনা ghost, genii করি তার প্রেতকে বশ করতে চাই । ২ ঐ জালের জানলার ভিতর দিয়ে মানুষটা ছেকে বেরিয়ে খাটি অমানুষটি গাঢ় হয়ে non-human উঠেচে । ৩ পৌষের গান। ফসল পেকেচে, কাটতে হবে, harvesting season তারি ডাক । ৪ নন্দিন, তুমি কি জানো, বিধাতা তোমাকেও একটা মায়ার আবরণে আধঢাকা করে রেখেচেন ? mystery · ৫ তার পালের উপরে হাওয়ার ছন্দটি খেলে আমার হালের মধ্যে তার জবাবটি চমকিয়ে stå i impulse, reserve তার উদ্যমের সঙ্গে আমার সংযমের এই তাল-মেলানো নাচ । ৬ চন্দ্রার 'রাক্ষসী, তুই তাকে ধরিয়ে দিয়েচিস, তুই ওদের চর’ শীর্ষক সংলাপের মাথায় লেখা ogress