পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ brby ব্যগ্র হয়ে পড়তেন কিন্তু এর বেলা সেরকম তো কিছু মনে পড়ছে না। আমরা তখন নেহাৎ ছেলেমানুষ । অন্য যাঁরা একটু বড়ো ছিলেন, নন্দিনী'র অংশ গ্রহণ করার মতো কেউ ছিলেন না এমনকি অভিনয় (বড়ো কিছু) করার মতো কেউ ছিলেন না । এটা একটা কারণ হতে পারে। ... আমার তপতী অভিনয় ওঁর ভালো লাগে ও তপতী অভিনয় অনুষ্ঠিত হবার পর আমায় বার বার বলতে থাকেন "নন্দিনী’ করার জন্য । আমার কেমন মনে হয়েছিল ওটা আমি পারব না। উনি অনেক করে বলেন কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় করালেন না। ... আমি যে কত বড়ো অন্যায় করেছি তা এখন বুঝতে পেরে মর্মে মর্মে দুঃখ অনুভব করি । উনি বলেন “আমি তোকে শেখাবো তুই ঠিকই পারবি।" নন্দিনীর একটা ছবি তাঁর মনের মধ্যে ছিল যার সঙ্গে আমার কিছু মিল পেয়ে থাকবেন ।” ‘রক্তকরবী'র গ্রন্থাকারে প্রকাশের পরেও কবি অনেকদিন বেঁচে ছিলেন। কিন্তু তাঁর জীবিতাবস্থায় শাস্তিনিকেতনে নাটকটির অভিনয় আর হল না। তবে শান্তিনিকেতনে না হলেও পরবর্তীকালে ১৯৩৪ সালের ৬ এপ্রিল ‘দি টেগোর গুপএর প্রযোজনায় (১ দপনারায়ণ টেগোর স্ত্রীট, কলকাতা) নাট্য-নিকেতন রঙ্গমঞ্চে সন্ধ্যা ৭টায় কলকাতায় সর্বপ্রথম অভিনয় হয়। এই অভিনয় উপলক্ষে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয় । তাতে এই ‘প্রথম অভিনয়-রজনী'র বিবরণ দেওয়া আছে। ‘বিহার ভূকম্প-পীড়িতের সাহায্যাথে এই নাট্যাভিনয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘রক্তকরবী'র এই অভিনয়-সূচী’-তে নাট্য বিধায়কগণের পরিচয় দেওয়া আছে। তার থেকে জানতে পারি যে, তিরিশ জনের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রী এই নাট্যাভিনয়ে অংশ নিয়েছিলেন । তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাম : প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর, কানাইলাল ঘোষাল, জগমোহন মুখোপাধ্যায়, নিশীথরঞ্জন মুখোপাধ্যায়, ইন্দুভূষণ চট্টোপাধ্যায়, আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, নির্মল কুঠারী, জ্যোৎস্নানাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রমথনাথ রায়, প্রীতি চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রমুখ। ংগীত-বিধায়কগণের নামগুলি এই রকম : দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, অদিতি দেবী, এবং নবমোহন রায় । রঙ্গমঞ্চ বিধায়কগণ-এর পরিচয় পাই এইভাবে : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রমেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর প্রযোজক । প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, এই পুস্তিকায় বা অভিনয়সূচীতে নাটকের পাত্র ও পাত্রীদের উল্লেখ থাকলেও পূর্বোত্ত নাট্যবিধায়কগণের মধ্যে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তা জানানো হয় নি। 暢 এই অভিনয়সূচী-তে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-স্বাক্ষরিত রক্তকরবী শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যা ‘রক্তকরবী গ্রন্থের ‘নাট্য পরিচয়’-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মূল্যবান বিবেচনা করে প্রতিবেদনটি তুলে ধরা গেল :