পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

', Լ { '; | باپ، 1 i to f | o o র مراسيا o ክ y . " o o o ". সে সত্যের উদ্রেক হয় না। আবার অনেক সময়ে একটি সত্যের উত্ৰেক হইয়াছে, শত সহস্র প্রমাণে তাহা ভাঙ্গিতে পারে না। এক জন নৈয়ায়িক যাহা পারেন না, এক জন বাগ্মী তাহ পারেন । নৈয়ায়িক ও বাগীতে প্রভেদ এই, নৈয়ামিকের হস্তে যুক্তির কুঠার ও বাগীর হস্তে কবিতার চাবি । নৈয়ায়িক কোপের উপর কোপ্‌ বসাইতেছেন, কিন্তু হৃদয়ের দ্বার ভাঙ্গিল না, আর বাগ্মী কোথায় একটু চাবি ঘুরাইয়া দিলেন, দ্বার খুলিয়া গেল। উভয়ের অস্ত্র বিভিন্ন । আমি যাহা বিশ্বাস করিতেছি তোমাকে তাহাই বিশ্বাস করান, আর আমি যাহা অনুভব করিতেছি তোমাকে তাহাই অনুভব করান—এ দুইটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ব্যাপার। আমি বিশ্বাস করিতেছি, একটি গোলাপ স্বগোল, আমি তাহার চারিদিক মাপিয়া জুকিয়া তোমাকে বিশ্বাস করাইতে পারি যে গোলাপ স্বগোল,—আর আমি অনুভব করাইতে পারি না যে গোলাপ সুন্দর। তখন কবিতার সাহায্য অবলম্বন করিতে হয় । গোলাপের সৌন্দৰ্য্য আমি যে উপভোগ করিতেছি, তাহা এমন করিয়া প্রকাশ করিতে হয়, যাহাতে তোমার মনেও সে সৌন্দৰ্য্য-ভাবের উদ্রেক হয়। এইরূপ প্রকাশ করাকেই বলে কবিতা। চোখে চোখে চাহনির মধ্যে যে যুক্তি আছে, যাহাতে করিয়া প্রেম ধরা পড়ে, অতিরিক্ত যত্ন করার মধ্যে যে যুক্তি আছে, যাহাতে করিয়া প্রেমের অভাব ধরা পড়ে, কথা না কহার মধ্যে যে যুক্তি আছে, যাহাতে অসীম কথা প্রকাশ করে, কবিতা সেই সকল যুক্তি ব্যক্ত করে। সচরাচর কথোপকথনে যুক্তির যতটুকু আবশ্বক, তাহারই চূড়ান্ত আবশ্বক দর্শনে বিজ্ঞানে । এই নিমিত্ত দর্শন বিজ্ঞানের গদ্য কথোপকথনের গদ্য হইতে অনেক তফাৎ । কথোপকথনের গদ্যে দর্শন বিজ্ঞান লিখিতে গেলে যুক্তির বাধুনি আলগা হইয়া যায়। এই নিমিত্ত খাটি নিভাজ যুক্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করিবার জন্য এক প্রকার চুল-চেরা তীক্ষ পরিষ্কার ভাষা নিৰ্ম্মাণ করিতে হয় । কিন্তু তথাপি সে ভাষা গদ্য বই আর কিছু নয়। কারণ, যুক্তির ভাষাই নিরলস্কার সরল পরিষ্কার গদ্য । আর আমরা সচরাচর কথোপকথনে যতটা অল্পভাব প্রকাশ করি, তাহারই চূড়ান্ত প্রকাশ করিতে হইলে কথোপকথনের ভাষা হইতে একটা স্বতন্ত্র ভাষার আবশ্যক করে। তাহাই কবিতার ভাষা—পদ্য। অন্তভাবের ভাষাই অলঙ্কারময়, তুলনাময় পষ্ঠ। সে আপনাকে প্রকাশ করিবার জন্ত আঁকুবাকু করিতে থাকে—তাহার যুক্তি নাই, তর্ক নাই, কিছুই নাই। আপনাকে প্রকাশ করিবার জন্য তাহার তেমন সোজা রাস্তা নাই। সে নিজের উপযোগী নূতন রাস্তা তৈরি করিয়া লয়। যুক্তির অভাব মোচন করিবার জন্য সৌন্দর্ঘ্যের শরণাপন্ন হয়। সে এমনি স্বন্দর করিয়া