পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা | ఏర్రివి গীতোচ্ছাস, পরে পুঞ্জীভূত মহাকাব্য, তাহার পরে বিচ্ছিন্ন পরিস্ফুট গীতসমূহ। সৌরজগতের কবিতাকে ষে ভাবে দেখা আবশ্বক, উন্নততর সাহিত্যের কবিতাকেও সেই ভাবে দেখা কৰ্ত্তব্য । নহিলে ভ্রমে পড়িতে হয় । সভ্যতার জোয়ারের মুখে সমস্ত সমাজ তীরের মত অগ্রসর হইতেছে, কেবল কবিতাই ষে উজান বাহিয়া উঠিতেছে এমন কেহ না মনে করেন। এখন বিশেষ ব্যক্তির (individual) গুরুত্ব লোপ পাইতেছে বলিয়া কেহ যেন না মনে করেন যে, ‘’ifa of oil officeo I of Tennyson of so-"The individual withers and the world is more and more.” একদল পণ্ডিত বলেন যে, যত দিন অজ্ঞানের প্রাদুর্ভাব থাকে তত দিন কবিতার শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। অতএব সভ্যতার দিবসালোকে কবিতা ক্রমে ক্রমে অদৃশ্ব হইয়া যাইবে । আচ্ছা, তাহাই মানিলাম। মনে কর কবিতা নিশাচর পক্ষী । কিন্তু কথা হইতেছে এই যে, জ্ঞানের অনুশীলন যতই হইতেছে, অজ্ঞানের অন্ধকার ততই বাড়িতেছে, ইহা কি কেহ অস্বীকার করিতে পারিবেন ? বিজ্ঞানের আলো আর কি করেন, কেবল “makes the darkness visible.” fosts of SJE of Afford of CŞCER I অন্ধকারের মানচিত্র ক্রমেই বাড়িতেছে, বড় বড় বৈজ্ঞানিক কলম্বস-সমূহ নূতন নূতন অন্ধকারের মহাদেশ বাহির করিতেছেন । নিশাচরী কবিতার পক্ষে এমন সুখের সময় আর কি হইতে পারে! সে রহস্য-প্রিয়, কিন্তু এত রহস্য কি আর কোন কালে ছিল ! এখন একটা রহস্তের আবরণ খুলিতে গিয়া দশটা রহস্য বাহির হইয়া পড়িতেছে। বিধাত রহস্য দিয়া রহস্য আবৃত করিয়া রাথিয়াছেন। একটা রহস্যের রক্তবীজকে হত্যা করিতে গিয়া তাহার লক্ষ লক্ষ রক্তবিন্দুতে লক্ষ লক্ষ রক্তবীজ জন্মিতেছে। মহাদেব রহস্ত-রাক্ষসকে এইরূপ বর দিয়া রাখিয়াছেন, সে র্তাহার বরে অমর। যেমন, এমন ঘোরতর অজ্ঞ কেহ কেহ আছে, যে নিজের অজ্ঞতার বিষয়েও অজ্ঞ, তেমনি প্রাচীন অজ্ঞানের সময় আমরা রহস্যকে রহস্ত বলিয়াই জানিতাম না । অজ্ঞানের একটা বিশেষ ধৰ্ম্ম এই যে, সে রহস্তের একটা কল্পিত আকার আয়তন ইতিহাস ঠিকুজি কুষ্টি পৰ্য্যস্ত তৈরি করিয়া ফেলে, এবং তাহাই সত্য বলিয়া মনে করে। অর্থাৎ প্রাচীন কবিরা রহস্তের পৌত্তলিকতা সেবা করিতেন। এখনকার কবিরা জ্ঞানের অন্ত্রে তাহার আকার আয়তন ভাজিয়া ফেলিয়া তাহাকে আরো রহস্য করিয়া তুলিতেছেন। এই নিমিত্ত প্রাচীন কালের অজ্ঞান অবস্থা কবিতার পক্ষে তেমন উপযোগী ছিল না । পৌরাণিক স্বাক্টসমূহ দেখিলে আমাদের কথার প্রমাণ হইবে। বহুকাল চলিয়া আসিয়া এখন তাহা আমাদের হৃদয়ের মধ্যে ৰন্ধমূল হইয়া গিয়াছে,