পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

闸 w 闇

f } i *圖略 usuk * 穆 | 料 אלל . باr

  • , অঙ্গ আভরণ তুমি শ্রবণ রঞ্জন,

বদনে বচন তুমি নয়নে অঞ্চন । নিমিখে শতেক যুগ হারাই হেন বাসি, রায় বসন্ত কহে পহু প্রেমরাশি ! ঠিক কথা বটে,--নিমিখে শতেক যুগ হারাই হেন বাসি ! যতই সময় পাওয়া যায়, ততই কাজ করা যায়। আমাদের হাতে “শতেক যুগ” নাই বলিয়া আমাদের অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থাকে। শতেক যুগ পাইলে আমরা অনেক কাজ সম্পূর্ণ করিয়া যাইতে পারি। কিন্তু প্রেমের সময়-গণনা যুগ যুগান্তর লইয়া নহে। প্রেম নিমিথ লইয়া বঁচিয়া থাকে, “এই নিমিত্ত প্রেমের সর্বদাই ভয়, পাছে নিমিখ হারাইয়া যায়। এক নিমিখে মাত্র আমি যে একটি চাহনি দেখিয়াছিলাম, তাহাই হৃদয়ের মধ্যে লালন করিয়া আমি শতেক যুগ বাচিয়া থাকিতে পারি ; আবার হয়ত আমি শতেক যুগ অপেক্ষা করিয়া বসিয়া আছি, কখন আমার একটি নিমেষ আসিবে একটি মাত্র চাহনি দেখিব ! দৈবাৎ সেই একটি মুহূৰ্ত্ত হারাইলে আমার অতীত কালের শতেক যুগ ব্যর্থ হইল, আমার ভবিষ্যৎ কালের শতেক যুগ হয়ত নিস্ফল হইবে। প্রতিভার স্ফূৰ্ত্তির ন্যায় প্রেমের ফুৰ্ত্তিও একটি মাহেন্দ্র ক্ষণ একটি শুভ মুহূৰ্ত্তের উপরে নির্ভর করে । হয়ত শতেক যুগ আমি তোমাকে দেখিয়া আসিতেছি, তবুও তোমাকে ভাল বাসিবার কথা আমার মনেও আসে নাই—কিন্তু দৈবাৎ একটি নিমিখ আসিল, তখন না জানি কোন গ্রহ কোন কক্ষে ছিল—দুই জনে চোখোচোখি হইল, ভাল বাসিলাম । সেই এক নিমিখ হয়ত পদ্মার তীরের মত অতীত শত যুগের পাড় ভাঙ্গিয়া দিল ও ভবিষ্যৎ শত যুগের পাড় গড়িয়া দিল। এই নিমিত্তই রাধা যখন ভাগ্যক্রমে প্রেমের শুভ-মুহূৰ্ত্ত পাইয়াছেন, তখন র্তাহার প্রতিক্ষণে ভয় হয় পাছে এক নিমিখ হারাইয়া যায়, পাছে সেই এক নিমিথ হারাইয়া গেলে শতেক যুগ হারাইয়া যায়। পাছে শতেক যুগের সমুদ্রের মধ্যে ডুবিয়া সেই নিমিখের হারাণ রত্নটুকু আর খুজিয়া না পাওয়া যায়! সেই জন্য তিনি বলিয়াছেন “নিমিখে শতেক যুগ হারাই হেন বাসি ” এমন যতই উদাহরণ উদ্ধৃত হইবে, ততই প্রমাণ হইবে যে, বিদ্যাপতি ও বসন্ত রায় এক কবি নহেন, এমন কি, এক শ্রেণীর কবিও নহেন ।