পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ۔ ۔ پ۹د কিন্তু গবর্ণমেন্ট যাহাদিগকে বড়লোক বলিয়া জানেন, তাহাদের বিপুল ঐশ্বৰ্য্য, বৃহৎ শিরোপা, বা অতিবিনীত সেলামের ক্ষমতা থাকিতে পারে কিন্তু যথার্থ যোগ্যতা না থাকিতেও পারে। আমরা যত দূর দেখিতে পাই তাহাতে আমাদের বিশ্বাস, মন্ত্রিসভায় দেশীয় মন্ত্রী নিয়োগ গবর্ণমেণ্ট তেমন অত্যাবশ্যক মনে করেন না, সুতরাং নির্বাচনের সময় যথেষ্ট সাবধান ও বিবেচনার সহিত কাজ করা তাহারা অনেকটা বাহুল্য বোধ করিতে পারেন । কিন্তু আমাদের ভাব ঠিক তাহার বিপরীত। গবর্ণমেণ্টকে বাস্তবিক সুপরামর্শ দিয়া দেশের হিতসাধন করিতে হইবে এবং স্বজাতির যোগ্যতা প্রমাণ করিয়া গৌরব লাভ করিব, এই আমাদের উদ্দেশ্য, কেবলমাত্র সভাগৃহের শোভাসম্পাদনে আমাদের কোন ফল নাই স্বার্থ নাই । সুতরাং নির্বাচনের সময় আমাদিগকে সবিশেষ বিবেচনার সহিত কাজ করিতে হইবে । পুনশ্চ, গবর্ণমেণ্ট র্যাহাদিগকে নিযুক্ত করেন র্তাহারা গবর্ণমেণ্টের অনুগ্রহআশ্রয়ে নিৰ্ভয়ে থাকিতে পারেন, আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির সে আশা নাই, সুতরাং খুব মজবুং দেখিয়াই লোক বাছিতে হইবে । অতএব আমাদের হাতে যোগ্য লোক বাছাই হইবার সম্ভাবনা অনেক বেশি । অর্থাৎ গ্রাম্য ভাষায় যাহাকে “গরজ” বলে তাহার দ্বারা সংসারের অধিকাংশ কাজ হইয়া থাকে। মন্ত্রিসভায় দেশীয় লোক নিৰ্ব্বাচন করিতে গবৰ্ণমেণ্টের কোন গরজ দেখা যাইতেছে না । অৰ্দ্ধ অনিচ্ছার সহিত র্তাহারা একটা আপোষে মীমাংসা করিতে চাহেন। লর্ড ক্রস বলেন যদি ভারতশাসনকৰ্ত্তারা ইচ্ছা করেন ত নিজে গুটিকতক দেশীয় লোক নিৰ্ব্বাচন করিয়া মন্ত্রীসংখ্যা কিঞ্চিৎ বৃদ্ধি করিতে পারেন । আমাদের ভারতরাজকৰ্ম্মচারীগণও এ বিষয়ে যে বিশেষ উৎসাহ প্রকাশ করিতেছেন তাহ বলিতে পারি না । অতএব যখন দেশীয় মন্ত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি করিতে গবৰ্ণমেণ্টের কিছুমাত্র গরজ নাই, অর্থাৎ তাহাদের মতে দুই চারিটা দেশী লোককে ডাকিলেও চলে, না ডাকিলে হয়ত আরো ভালো চলে তখন তাহাদের হাতে নিৰ্ব্বাচনের ভার কোন সাহসে দিই। গরজ আমাদেরই। অতএব আমরাই যথার্থ নিৰ্ব্বাচনের অধিকারী। এমন দুরাশাও আমরা করিতেছি না যে আমাদের প্রতিনিধিদের হস্তে রাজক্ষমতা থাকিবে । র্তাহার কেবল নিবেদন করিবেন মাত্র, বিচারের ভার কার্ষ্যের ভার তোমাদের । আমরা কেবল জানাইতে চাহি ও জানিতে চাহি । তোমরা আমাদের উপর আইন খাটাইবে । আমরা আমাদের গায়ের মাপ দিতে চাহি । দেখাইতে