পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-চর্চা । NHI এই প্রত্যেক বারে বৃদ্ধ পার্থীরা একটি হইতে বারোটি কীট লইয়া আসে, ইতিমধ্যে তাহারা নিজে যাহা খায়, সেটাকে আমরা ইহার মধ্যে ধরিতেছি না। এইরূপে দেখা যাইবে একটিমাত্র পক্ষিপরিবার দিনে বহু শত কীট ভক্ষণ করে । বস্তুত সতর্ক পর্য্যবেক্ষণের সাহায্যে হিসাব করিয়া দেখা গেছে—একটি পক্ষিপরিবার দিনে পাচ শত হইতে বারো শত কীট বিনাশ করে। ঠিক সেই কীটগুলি ছাড়াও অনেক পার্থী রাশি রাশি কীটডিম্ব ধ্বংস করে— অনেক সময়েই তাহার পরিমাণ দিনে বহুসহস্ৰ হইয়া থাকে। روا (في\ আমি অধিক দূর অগ্রসর হইতে না হইতেই স্বৰ্য্য অস্ত গেল এবং গোধূলির আলোকে আমি দুইটি পশুকে বন হইতে বাহির হইয়া পথের উপর আমার এক শত গজ আন্দাজ সম্মুখে আসিয়া দাড়াইতে দেখিলাম। দ্বীপের ঐ অংশে যে বহুসংখ্যক বন্য মহিষ বাস করে, আমি প্রথমে অস্পষ্ট আলোকে এই দুইটিকে তাহাদেরই অপূর্ণবয়স্ক শাবক ভাবিয়াছিলাম। আমাকে যে পথ অতিক্রম করিয়া যাইতে হইবে, তাহারই পাশ্ববৰ্ত্তী একটি বৃহৎ বৃক্ষের অভিমুখে তাহারা মস্তক নত করিয়া অগ্রসর হইল এবং সেইখানে গাছের শিকড়ের চারিধারে ভ্রাণ করিয়া বেড়াইতে লাগিল । আমি এখন তাহাদের যথেষ্ট নিকটবৰ্ত্তী হওয়াতে দেখিতে পাইলাম যে, তাহারা অতি বৃহদাকার ভল্লুক। পাশ্বে সরিয়া যাওয়া অসম্ভব ছিল, কারণ বনটি, মহিষ-কণ্টক নামে খ্যাত একপ্রকার অতিদীর্ঘ কণ্টকে পূর্ণ হওয়াতে, মঙ্গুষ্যের দুর্ভেদ্য ছিল । ফিরিয়া যাওয়ার কথা একবারও আমার মনে আসে নাই, বাস্তবপক্ষে আমার চিন্তা করিবার সময়ই ছিল না, কারণ, আমি এক্ষণে তাহাদের ত্রিশ পদের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছিলাম । ৩৭ তাহারা মস্তক উত্তোলন করিল এবং একটি হ্রস্ব গর্জনে আপনাদের ক্রোধের পরিচয় দিল, উহার পরিবর্তে আমি তাহদের দিকে ধাবিত হইয়া, উহাদের তিন গজের মধ্যে গিয়া পড়িলাম ; তাহারা তবুও সরিয়া যাইবার কোনো লক্ষণ প্রকাশ করিল না ; তাহারা আমার দিকে অগ্রসর হইয়া আসিল । আমি তাহাদের দিকেই মুখ করিয়া, এমন আড়ভাবে ঘুরিয়া চলিলাম, যাহাতে তাহাদের যে পার্শ্ব দিয়া আমাকে পথ