পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(? (? o রবীন্দ্র-রচনাবলী করিয়া অথবা ডিম্ব প্রসব করিয়া বংশ বৃদ্ধি করে ; তাহা এমন ভয়ঙ্কর দ্রুতবেগে করিয়া থাকে যে, একটিমাত্র রোগবীজ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বহুলক্ষ বীজ উৎপাদন করিতে পারে এবং যে জন্তুকে ইহারা আক্রমণ করিয়াছে, বিষ প্রস্তুত করিয়া, তাহাকে অবশেষে মারিয়া ফেলিতে পারে । সজীব জন্তুদের অভ্যন্তরে প্রবেশ করিবার পূৰ্ব্বে, মাটির উপরে সঞ্চিত ধূলি এবং ময়লার মধ্যে ইহাদের বাসা থাকে, বিশেষত সে মাটি যদি সে ৎসেতে হয় । bペ একটি বেশ মজবুত রকমের জাপানী যুবক চৌরঙ্গীর রাস্তা বাহিয়া যাইতেছিল, দুইজন য়ুরোপীয় ভদ্রলোকের সঙ্গে তাহার ঝগড়া বাধিল ; তাহার স্থানীয় বায়স্কোপশালায় চলিয়াছিল । জাপানী তাহাদের আচরণে বিরক্ত হইয়া বিন কালব্যয়ে তাহাদের উভয়কে চিং করিয়া পাড়িয়া ফেলিল। নিকটবর্তী কৰ্ম্মস্থানের দুইজন দারোয়ান সাহেবদের সহায়তা করিতে ছুটিয়া আসিল ; কিন্তু যাহাদের পক্ষ সমর্থন করিতে আসিল, ইহারাও তাহাদেরই দশা প্রাপ্ত হইল। আরও দুইজন দারোয়ান এবং দুইজন কনষ্টেবল ঘটনাস্থানে ছুটিয়া আসিল ; তাহাদের আগমনের কয়েক সেকেণ্ড পরেই দেখা গেল, তাহারাও রাস্তার মাঝখানে লুটাইতেছে। জাপানীকে দেখিয়া বোধ হইল যে, তাহার জুজুৎসু খেলা আরো কিছু দেখাইবার জন্য সে প্রস্তুত আছে । শক্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিবার জন্য সে মিষ্ট হাসিমুখে অন্য সকলকে আহবান করিতে লাগিল । একজন যুরোপীয় সার্জেণ্ট এই সঙ্কট কালে উপস্থিত হইল এবং তাহার সঙ্গে ফঁাড়ি-থানায় যাইতে তাহাকে সবিনয় উপরোধের দ্বারা রাজি করাইল । গতকল্য রিপোর্টে পাওয়া গিয়াছে যে, তাহাকে সাবধান করিয়া ছাড়িয়া দেওয়া হইয়াছে । しア\○ একটি হিন্দুরমণীকে মিথ্যা পরিচয়ে বিবাহ করিবার অপরাধে হরিপুরের পুলিস মনোহর পাল নামক এক ব্যক্তিকে এইমাত্র গ্রেফতার করিয়াছে । এইরূপ উক্ত হইয়াছে যে, অভিযুক্ত নিজেকে মথুর গাঙ্গুলীর পুত্র ব্ৰজ গাঙ্গুলী নামে অভিহিত করিয়াছিল এবং সে মাধব চক্রবর্তী নামে একজনের বাড়িতে বাস করিত । ইহাও বর্ণিত হইয়াছে যে, সে মাধবের বাড়িতে বার্ষিক দুর্গাপূজা করিত। কানাই চাটুজ্জে নামে একজনের কাদম্বিনী বলিয়া এক অবিবাহিত ভগিনী ছিল । মথুরের পুত্রকে এ পর্য্যস্ত খুজিয়া পাওয়া যায় নাই এবং রিপোর্ট দেওয়া হইয়াছিল যে, সে সন্ন্যাসী