পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-চর্চা & & S হইয় তাহার পিতৃগৃহ ত্যাগ করিয়াছিল। মনোহর ইহাই জানিতে পারিয়া সন্ন্যাসীর মতো চলিতে লাগিল এবং লোককে জানাইল যে, সে-ই মথুরের নিরুদ্দেশ ছেলে । কানাই তাহার সঙ্গে নিজের বোনের বিবাহের বন্দোবস্ত করে এবং চার বৎসর পূৰ্ব্বে হিন্দু-প্রথামতে বিবাহ অতুষ্ঠিত হয় । অভিযুক্ত ব্যক্তি কানাইয়ের কাছে আসিত এবং একটা ব্যবসা করিবে বলিয়া জানাইলে কানাই তাহাকে ৬৫০ টাকা দেয় । তাহার আচারব্যবহার কেমন সন্দেহজনক ছিল ; পরে তাহার সত্য নাম ও জাতি প্রকাশ হইয়া পড়িল । কানাইয়ের ভগিনী ইহ জানিতে পারিয়া তাহার ভাইকে বলে যে, তাহাকে উদ্ধার না করিলে সে আত্মহত্যা করিবে । পুলিসকে খবর দেওয়া হইল এবং অভিযুক্ত গ্রেফতার হইল। আরও অনুসন্ধান চলিতেছে । b〜8 ধতুষ্টঙ্কার যে রোগবীজের দ্বারা উৎপন্ন হয় তাহারা ভূমির উপরিভাগে বাস করে ; তাহারা বিশেষভাবে এমন ভূমিতলকে পছন্দ করে যেখানে ঘোড়া কিংবা গোরুর পাল বাস করিতেছে, যেমন আস্তাবল, রাস্তা এবং গোলাবাড়ী । গোরু এবং ঘোড়ার শরীর হইতে যে সকল ত্যাজ্য পদার্থ নির্গত হইয়াছে তাহা এই সকল রোগবীজের পোষণের পক্ষে বিশেষ উপযোগী বলিয়া বোধ হয় । তাহারা চৰ্ম্মের কোনো একটা ক্ষুদ্র ক্ষত কিম্বা কাটা ঘ দিয়া কিম্বা নাকের কিঙ্গ মুখের ভিতর দিয়া মানুষের দেহে প্রবেশ করে । br○ সেই জন্য যে সব লোক খালি পায়ে যায়, কিন্স রাস্তায় পড়িয়া গিয়া যাহাদের ঘ লাগে বা অঁাচড় লাগে, বিশেষত সেই রাস্তায় যদি ঘোড়া কিংবা গোরুর যাতায়াত থাকে,—তবে ধতুষ্টঙ্কারের দ্বারা আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা অন্য লোকদের চেয়ে ইহাদেরই অধিক । যখন ভূতলের উপবিভাগ শুকাইয়া যায় এবং মলিন পদার্থ উড়িয়া বেড়ায়, তখন বাতাসে ভাসমান ধূলি নাক মুখ বা কণ্ঠের মধ্যে কিছু পরিমাণ এই রোগবীজ বহন করিয়া আনিতে পারে। আর যদি সেখানে কোনো ক্ষুদ্র ক্ষত থাকে, তবে ইহ রক্তে প্রবেশ করিয়া ধতুষ্টঙ্কার ঘটাইতে পারে ।