পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ہوا � সতর্কদূষ্টি রাখিয়াছিলাম, যেন উহাদিগকে আবিষ্কার করার উপরেই আমার জীবন নির্ভর করিতেছে । D ob সহসা ইহাদের এই নিবিড়সম্বদ্ধ স্তপের মধ্যে উহাদের একটি স্বজাতীয় প্রাণী তীরবেগে আসিয়া পড়িল—সে উহাদের অপেক্ষা অনেক বৃহত্তর, অন্ততঃ পক্ষে দৈর্ঘ্যে ছয় ফুট এবং সেই অনুপাতেই চওড়া হইবে। আমি দেখিলাম, উহারা লক্ষ্যশূন্তভাবে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িল, যেন জানে না কোথায় পালাইতে হইবে । এই সন্ত্রস্ত তরুণ প্রাণীগুলির মধ্যে উক্ত স্বজাতিখাদক যখন ইতস্তত তীরবেগে ছুটিতে লাগিল, তখন তাহাকে ক্ষণকালের জন্য অস্পষ্ট দেখিতে পাওয়া গেল ; তাহার পরে জল রক্তে এবং মৎস্তের ভাসমান ছিন্নাংশে এমন মলিন হইয়া গেল যে, কিছুক্ষণের মতো আর এই উৎপাত দেখিতে পাইলাম না । ১ ০ ৯ে সমুদ্র-শুশুকের জীবন নিশ্চয়ই অত্যন্ত সুখের হইবে, কারণ সে বিনা বাধায় মহাসমুদ্র সকলের উন্মুক্ত প্রসারতার মধ্যে ভ্রমণ করিয়া থাকে। উহার যে সব শক্ৰ আছে তাহাদিগকে বেগে ছাড়াইয়া চলিতে ও এড়াইয়া যাইতে সে খুবই সমর্থ। সময়ে সময়ে অসতর্ক হইয়। সে হাঙ্গরের শিকার হইয়া পড়ে, কিন্তু আমার মনে হয়, ইহা কদাচিৎ ঘটিয়া থাকে । এরূপ এক ঘটনা আমি একবার দেখিয়াছিলাম । প্রশাস্ত মহাসাগরে, সম্পূর্ণ এক শাস্ত দিনে মাস্কলের উপরিস্থিত আমার আশ্রয়স্থান হইতে নীল-সমুদ্রের তলে যাহা কিছু ঘটতেছে, একটি শক্তিশালী দূরবীণের মধ্য দিয়া সে সমস্তই অত্যন্ত পরিষ্কাররূপে দৃষ্টিগোচর হইতেছিল। খুব কাছেই প্রকাণ্ড এক কাঠের গুড়ি ভাসিতেছিল। ইহা নিরীক্ষণকালে জমকালো এক সমুদ্র-শুশুক দেখিতে পাইলাম—ইহার চৰ্ম্ম হইতে সূৰ্য্যকিরণে নীল এবং সোনালি আভা ঠিক্রাইতেছে ; সে আলস্যভরে লেজ নাড়িতে নাড়িতে কাষ্ঠখণ্ডের সম্মুখ দিয়া চলিয়া যাইতেছে, মনে হয় যেন সে আহার করিয়া পরিতৃপ্ত । У У о ঠিক তাহার পশ্চাতে কাষ্ঠখণ্ডের তলদেশ হইতে এক অস্পষ্ট ছায়া নির্গত হইয়া উপরিভাগে উৎক্ষিপ্ত হইল, সেখানে এক ঘূর্ণি এবং আবিলতা দেখা দিল, এবং ঐ সৌখিন সমুদ্রজীবটি দুই খণ্ডে বিভক্ত হইয়া গেল ; উহার এক খণ্ড চতুর হাঙ্গরের