পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ १२ রবীন্দ্র-রচনাবলী অলক্তব্য ব্যবধান । ধৰ্ম্ম এবং জাতিগত প্রথার বাধা অপেক্ষ এই ব্যবধান ভাঙিয়া ফেলা অধিকতর কঠিন । শান-মালভূমিতে কখনও বা একই গ্রামে, একই ধৰ্ম্ম ও প্রায় একই রূপ প্রথা লইয়া যে জাতিসকল পাশাপাশি বাস করিতেছে, একজন দোভাষীর সাহায্য ভিন্ন তাহদের মধ্যে কোনও বলা-কহা চলিতে পারে না। নিকোবরবর্গের নানা দ্বীপে যে সকল জাতি-সম্প্রদায় বাস করে, যদিও তাহার একই মূল-বংশের তথাপি তাহাদের আস্তদ্বৈপিক পণ্যবিনিময়-প্রথা হিন্দুস্থানী অথবা ইংরেজীর মধ্যস্থতায় সম্পাদিত হয়। যে সকল আগুীমানী জাতিসম্প্রদায় একই দ্বীপে বাস করে, তাহারা সঙ্কেতের দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে কথাবার্তা চালায়। যে Chin জাতিগুলি একটিমাত্র পর্বতমালার দ্বারা বিভক্ত অথবা একই উপত্যকার ভিন্ন অংশে পরস্পরের দৃষ্টিগোচরেই বাস করে, তাহাদের মধ্যে ভাষার অনুত্তরণীয় বিচ্ছেদ বর্তমান । У 8 o যে স্তন্যপায়ী জীব বিশেষ কোনও জৈব-ক্রিয়ার যন্ত্র হইতে বঞ্চিত হইয়াছে, সেই প্রাণী সাধারণত বাচিতে পারে না । সে তাহার কোনও অঙ্গ হারাইলে তাহা তাহার পক্ষে সঙ্কটজনক হইয় উঠে । তাহার পাকস্থলী অপসারিত হইলে দ্রুত তাহার সাংঘাতিক ফল ঘটিতে পারে। ইহাই বিস্ময়ের বিষয় যে, যে সকল ক্ষতি অনেক সময়ে সামান্য বলিয়া বোধ হয়, স্তন্যপায়ী জীবের পক্ষে তাহাই প্রাণহানিকর হইতে পারে । অঙ্গচ্ছেদ-সম্বন্ধে মৎস্য ও অল্প ঘাতকাতর নহে। কিন্তু কীট এই নিয়মের সুস্পষ্ট ব্যতিক্রম, এবং ইহাই জীবনের প্রতি কীটের আকৃষ্টিপরতা সপ্রমাণ করে । যে সব হানির দ্বারা উন্নততর শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে প্রায় অচিরাং মৃত্যু ঘটাইতে পারে, অনেক জাতীয় কীট সেই সব হানি অতিক্রম করিয়াও বাচিয়া থাকিতে সমর্থ। > 8 X একটি পতঙ্গের জীবনীশক্তি দেখিয়া Doctor Miller-এর মনোযোগ এই বিষয়ে প্রথম বিশেষভাবে আকৃষ্ট হইয়াছিল। Doctor Miller স্বয়ং বলিয়াছেন— “আলোচ্য পতঙ্গটিকে ধরিয়া যথাবিহিতরূপে ক্লোরোফরম্ করিয়া আমার একজন সহকারী আমার নিকটে আনিয়াছিলেন। মৃত্যুকে দ্বিগুণতর স্বনিশ্চিত করিবার জন্য তাহার বুকের (thorax ) ভিতর দিয়া আমি একটি জলন্ত ছুচ প্রবেশ করাইয়া দিয়াছিলাম। চারিদিন পরে একদিন সন্ধ্যাকালে আমি তাহার প্রতি পুনরায় দৃষ্টিপাত করিলাম। তাহাকে আড়ষ্ট এবং মৃত বলিয়া বোধ হইল এবং ভাবিলাম, শীঘ্রই এটি