পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুবাদ-চর্চা Q為> বাৰ্দ্ধক্য মন্দ গতিতে নামিয়া আসিতেছে, ইহার ফলে অবশেষে আমরা বিশ বৎসর বয়সে বৃদ্ধ হইয়া উঠিব । 〉brbア গত বিশ বৎসরের মধ্যে, বিশেষভাবে সভ্য দেশ সকলে, জাতিগত জীর্ণতার প্রমাণ এত প্রচুর পরিমাণে সঞ্চিত হইয়াছে যে, বৰ্ত্তমান কালে কোনো নৃতত্ত্বঅনুশীলনকারী একথা স্বীকার করিতে দ্বিধা করিবেন না যে, প্রত্যেক সভ্য সমাজে যে সকল অবজনন প্রভাব বর্তমান, প্রত্যহ তাহার প্রবলতা বৃদ্ধি পাইতেছে এবং সমূলে দমন প্রাপ্ত না হইলে কালক্রমে তাহ অবশ্যই লোক ধ্বংস করিবে। লোকসংখ্যার অবশিষ্ট ভাগের তুলনায় শতায় লোকের পরিমাণের সুস্পষ্ট হ্রস্বতাই জনগণের অবজননের সুনিশ্চিত প্রমাণসকলের মধ্যে অন্যতম, লেখক প্রায় চল্লিশ বৎসর ধরিয়া তৎপ্রতি লোকের মনোযোগ অভিনির্দেশ করিতেছেন। ফরাসী দেশে শতাযু লোকের পরিমাণ জনসংখ্যার এক লক্ষ নব্বই হাজারে একজন ; ইংলণ্ডে দুই লক্ষে একজন, জৰ্ম্মানিতে সাত লক্ষে একজন । >bア。 আজকাল কুইনাইন এবং অন্যান্য সিঙ্কোনা-জাত পদার্থের উৎপাদন অত্যধিক পরিমাণে জাভার ডচ গভর্ণমেণ্টের হস্তেই আছে। এই প্রবল একচেটিয়া ব্যবসার প্রতিকূলে ভারতবর্ষে দাৰ্জিলিঙে কয়েকটি এবং উহা অপেক্ষ অল্প পরিমাণে মান্দ্রাজ প্রেসিডেন্সির নীলগিরিতে অবস্থিত কয়েকটি সিঙ্কোনার কৃষিক্ষেত্র আমাদের আছে। বৰ্ত্তমান কাল পর্য্যন্ত ভারতবর্ষে সিঙ্কোনার কারখানা সকলকে প্রধানত জাভা হইতে ক্রীত বন্ধলের উপর অত্যন্ত বেশি নির্ভর করিতে হইয়াছে। ১৮৮৭ হইতে ১৮৯২ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্য্যস্ত যত দিন কুইনাইনের প্রয়োজন অল্প ছিল, তত দিন বিদেশী গাছ ক্রয় করা হয় নাই, এবং বার্ষিক যে ৩০ ০০ ০০ পাউণ্ড বন্ধলের জোগান পাওয়া যাইত এবং যাহা হইতে ২৬০০ পাউণ্ড কুইনাইন উৎপন্ন হইত, তাহাই ভারতবর্ষের তখনকার প্রয়োজনের পক্ষে যথেষ্ট ছিল। ১৮৯২ হইতে ১৯০১ খ্ৰীষ্টাব্দের মধ্যে চাহিদা যখন বাড়িয়া উঠিল, তখন প্রায় ২৫০,০০০ পাউণ্ড গাছের ছাল বাংলা দেশেই উৎপন্ন হইয়াছে, কিন্তু অনূ্যন ২৫১,৫০০ পাউণ্ড ক্রয় করা হইয়াছিল এবং তাহা হইতে ৮০ ০০ পাউণ্ড কুইনাইন উৎপন্ন হয় ।