পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭ . . রবীন্দ্র-রচনাবলী আমাদের কাছে রাখিয়া গেছে। তাহার জীবনে অনেক সময়ে আজিকার মতের সহিত কালিকার মতের অনৈক্য দেখিয়াছি, এমন কি, তাহার মত একরূপ শুনা গিয়াছে, তাহার কাজ আর একরূপ দেখা গিয়াছে—এই সকল বিরোধ অনৈক্য চঞ্চলত তাহার আত্মার জড় আবরণের মত এইখানেই পড়িয়া রহিল, ইহাকে অতিক্রম করিয়া যে ঐক্য যে অমরতা অধিষ্ঠিত ছিল, তাহাই কেবল চলিয়া গেল। যখন তাহার দেহ দগ্ধ করিয়া ফেলিলাম, তখন এগুলিও দগ্ধ করিয়া শ্মশানে ফেলিয়া আসা যাক । তাহার সেই মৃত অনিত্যগুলিকে লইয়া অনর্থক সমালোচনা করিয়া কেন তাহার প্রতি অসম্মান করি ? তাহার মধ্যে যে সত্য, যে দেবত ছিল, যে থাকিবে, সেই আমাদের হৃদয়ের মধ্যে অধিষ্ঠান করুক ! அறுகம்சாறுகாமன்த்த বৈষ্ণব কবির গান। பதும் মর্ত্যের সীমান। এক স্থানে মৰ্ত্ত্যের প্রাস্তদেশ আছে, সেখানে দাড়াইলে মর্ত্যের পরপার কিছু কিছু যেন দেখা যায় । সে স্থানটা এমন সঙ্কট-স্থানে অবস্থিত যে, উহাকে মর্ত্যের প্রান্ত বলিব, কি স্বর্গের প্রাস্ত বলিব, ঠিক করিয়া উঠা যায় ন—অর্থাং উহাকে দুইই বলা যায় । সেই প্রান্তভূমি কোথায় ! পৃথিবীর আপিসের কাজে শ্রান্ত হইলে, আমরা কোথায় সেই স্বর্গের বায়ু সেবন করিতে যাই ! স্বগের সামগ্রী । । স্বৰ্গ কি, আগে তাহাই দেখিতে হয় । যেখানে যে কেহ স্বর্গ কল্পনা করিয়াছে, সকলেই নিজ নিজ ক্ষমতা অনুসারে স্বৰ্গকে সৌন্দর্য্যের সার বলিয়া কল্পনা করিয়াছে। আমার স্বৰ্গ আমার সৌন্দৰ্য্য-কল্পনার চরম তীর্থ। পৃথিবীতে কত কি আছে, কিন্তু