পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অচলিত) দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৬৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩e রবীন্দ্র-রচনাবলী প্ৰম পাউচ বর্ষা নেমেছে। গমি আর নেই। থেকে থেকে মেঘের গর্জন আর বিদ্যুতের চমকানি চলছে। শিলং পর্বতে ঝর্ণার জল বেড়ে উঠল । কর্ণফুলি নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। সর্ষে ক্ষেত ডুবিয়ে দিলে। দুর্গানাথের আঙিনায় জল উঠেছে। তা’র দৰ্মার বেড়া ভেঙে গেল। বেচারা গোরুগুলোর বড়ো দুৰ্গতি। এক হাটু পাকে দাড়িয়ে আছে। চাষীদের কাজকর্ম সব বন্ধ। ঘরে ঘরে সর্দি-কাশি। কর্তাবাবু বর্ষাতি পারে চলেছেন। সঙ্গে তার আর্দালি তুর্কি মিঞা। গর্ত সব ভরে গিয়ে ব্যাঙের বাসা হোলো। পাড়ার নর্দমাগুলো জলে ছাপিয়ে গেছে । ঐখানে মা পুকুরপাড়ে জিয়লগাছের বেড়ার ধারে হোথায় হব বনবাসী । কেউ কোথাও নেই, ঐখানে ঝাউতলা জুড়ে' বাধব তোমার ছোট কুঁড়ে, শুকনো পাতা বিছিয়ে ঘরে থাকব দুজনেই । বাঘ ভাল্লুক অনেক আছে— আসবে না কেউ তোমার কাছে, দিনরাত্তির কোমর বেঁধে থাকব পাহারাতে, রাক্ষসেরা ঝোপে ঝাড়ে মারবে উকি আড়ে আড়ে, দেখবে আমি দাড়িয়ে আছি ধনুক নিয়ে হাতে । আঁচলেতে খই নিয়ে তুই যেই দাড়াবি দ্বারে অমনি যত বনের হরিণ আসবে সারে সারে ।